রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে পিস্তলের তাজা গুলি, ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। গত ১১ ও ১২ মার্চ এই এলাকায় যৌথ অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন (৬০), মো. সাইফুল (৩২), মো. ফারুক (৩৫), ছিদ্দিক ওরফে কুত্তা ছিদ্দিক (৪১), রহমত (৪০), খায়রুল (৪২), পারভেজ (৪৫), মো. ইউনুস সরদার (৪০), মো. আল আমিন (৩২), মো. আক্তার হোসেন (৩৪), কবির শেখ (৪৩), বাবুল (৩০) ও বাবু (২৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩০ রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি, চারটি ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা তালেবুর রহমান দাবি করেন, কামরাঙ্গীরচরের মুসলিমবাগ এলাকার বিআইডব্লিউটিএর ঠোঁটার মাঠে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মেলা আয়োজনের জন্য স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ চলছিল। ১১ মার্চ টেন্ডারের মাধ্যমে পারভেজ ওরফে ছোট বাবু মেলার মাঠটি বরাদ্দ পায়। মাঠটি বরাদ্দ পাওয়ার পর ওই দিন রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে পারভেজ ও তাঁর ৩০ থেকে ৪০ সহযোগী একত্রিত হয়ে আলোচনা করছিল। তখন প্রতিপক্ষ হাজী মনির চেয়ারম্যান গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন থেকে চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং পারভেজ গ্রুপের তিন থেকে চারজনকে মারধর করে গুরুতর আহত করে।
তালেবুর রহমান আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে চেয়ারম্যান গ্রুপ মুসলিমবাগ এলাকায় ফারুক মেম্বারের বাড়ির সামনে পুনরায় ৮ থেকে ১০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং তার বসত বাড়ি ভাঙচুর করে। ওই ঘটনার ফারুক মেম্বারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার সূত্র ধরেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।