সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১৩ গ্রামে আজ রোববার ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করা হচ্ছে। এসব গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখাও শুরু করেছিলেন। তাঁরা মূলত চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরিফের মুরিদ।
আজ সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে পৃথকভাবে গ্রামগুলোতে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। এসব গ্রামের মধ্যে আছে শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের সহস্রাইল, দড়ি সহস্রাইল, ভুলবাড়িয়া, বারাংকুলা, বড়গাঁ, মাইটকুমড়া, গঙ্গানন্দপুর, রাখালতলী, কাটাগড়, কলিমাঝি, বন্ডপাশা, জয়দেবপুর ও দীঘিরপাড়।
আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. মাহিদুল হক বলেন, শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের অন্তত ১৩ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ আজ ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
এ নিয়ে কথা হলে মাইটকুমড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আবুল হাসান শেখ বলেন, ‘আমাদের গ্রামের কিছু মানুষ আজ পবিত্র ঈদ উদ্যাপন করছে। গ্রামের অন্য বাসিন্দারা আগামীকাল সোমবার ঈদ উদ্যাপন করবে।’
মাইটকুমড়া জামে মসজিদের ইমাম মো. রিফাত শিকদার জানান, তাঁদের মসজিদে আজ সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তিনি নামাজে ইমামতি করেছেন।
নিজেদের চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরিফের মুরিদ উল্লেখ করে সহস্রাইল গ্রামের বাসিন্দা দিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা অনেক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখি, ঈদ পালন করি। এটা আমাদের ঐতিহ্য। বাপ-দাদার আমল থেকে এভাবে চলে আসছে।’
এ বিষয়ে শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ বলেন, বোয়ালমারী উপজেলার দুটি ইউনিয়নের প্রায় ১৩টি গ্রামের আংশিক মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছে।