বিহারের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিক লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে গত বছর সাক্ষাতের পর অনেকেই মনে করেছিলেন বলিউড তারকা মনোজ বাজপেয়ি বুঝি রাজনীতিতে আগ্রহী। কিন্তু না, মনোজ বলছেন, রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই, অভিনয়ই তাঁর ধ্যানজ্ঞান।
নিজের অভিনীত ‘শির্ফ এক বান্দা কাফি হ্যায়’ সিনেমার প্রচারের জন্য সম্প্রতি পাটনায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন গুণী এই অভিনেতা।
মনোজ বলেন, ‘শেষবার যখন বিহারে গিয়েছিলাম, লালু প্রসাদ ও তাঁর ছেলে ডেপুটি চিফ মিনিস্টার তেজস্বী যাদবের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তখন থেকেই মানুষ ভাবত আমি রাজনীতিতে যোগ দেব। কিন্তু ২০০ ভাগ নিশ্চিত, আমি সেটা করব না। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’
তিনটি জাতীয় পুরস্কার ও চারটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ী এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি অভিনেতা এবং শুধু অভিনেতাই থাকব...রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রশ্ন কীভাবে আসে?’
অভিনয়ের প্রথম জীবনে ছোট ছোট চরিত্রে পর্দায় হাজির হয়ে তিনি তাঁর অভিনয়ের মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন। ১৯৯৪ সালে ‘দ্রোহকাল’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় তাঁর অভিষেক হয়। এরপর সেবারই তিনি শেখর কাপুরের ‘ব্যান্ডিট কুইন’ চলচ্চিত্রে ডাকাতের একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন। এ রকম কয়েকটি অনুল্লেখ চরিত্রে অভিনয়ের পর তিনি ১৯৯৮ সালে রাম গোপাল বর্মার ‘সত্য’ সিনেমায় গ্যাংস্টার ভিকু মহাত্রে চরিত্রে অভিনয় করেন। সিনেমাটির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর তিনি ‘কৌন’ ও ‘শূল’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেন। ‘শূল’ সিনেমার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে তাঁর দ্বিতীয় ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার অর্জন করেন।
মনোজকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘শির্ফ এক বান্দা কাফি হ্যায়’তে। এরপর অভিনেতাকে দেখা যাবে ‘স্যুপ’, ‘ডিসপ্যাচ’ ও ‘জোরাম’-এ।