পাইরেসির কবলে পড়েছে কান উৎসবে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের প্রথম অফিশিয়াল ছবি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। বেশ কিছু অনলাইন মাধ্যমে ছবিটি বেআইনিভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে একটি চক্র। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছবিটি। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ছবির পরিচালক, প্রযোজকসহ সংশ্লিষ্টরা।
এরই মধ্যে এ বিষয়ে আইনি সহায়তার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন ছবির প্রযোজক ও পরিচালক। বিষয়টি তদারক করছেন ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) খন্দকার রবিউল আরাফাত লেনিন। তিনি তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, ‘সম্প্রতি ফ্রান্সে “কান চলচ্চিত্র উৎসবে” প্রদর্শিত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি সিনেমা “রেহানা মরিয়ম নূর” কিছু অসাধু ব্যক্তি কর্তৃক পাইরেসির শিকার হয়েছে এবং অনেকে তা নিজ ডিভাইসে ডাউনলোড করেছেন। ছবিটির প্রযোজক, পরিচালকের অভিযোগের ভিত্তিতে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের চিফ উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার) স্যারের সার্বিক নির্দেশে এসংক্রান্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। এই চক্রকে অতিদ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। যাঁরা অবৈধভাবে ছবিটি ডাউনলোড করেছেন, তাঁদের বিনীত অনুরোধ করব, দ্রুত আপনার ডিভাইস থেকে ছবিটি ডিলেট করে দিন। বাংলাদেশর চলচ্চিত্র তথা জাতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য সুরক্ষা ও সুস্থ চর্চায় আইনি সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ পুলিশ সদা তৎপর।’
এদিকে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবিটি বাংলাদেশের দর্শকের জন্য আগামী অক্টোবর মাসেই দেশের হলে মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন এহসানুল হক বাবু। তিনি বলেছেন, ‘আগে থেকেই আমাদের পরিকল্পনা ছিল এ বছরের অক্টোবর মাসে দেশের হলগুলোতে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার। এরই মধ্যে পাইরেসির ঘটনায় নিশ্চিতভাবে ছবিটি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ছবি মুক্তির ব্যাপারে আমরা ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছি। দেশে সেন্সর ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজিক কাজ শেষ করে আশা করছি অক্টোবরেই দেশে মুক্তি দিতে পারব।’
দেশে ছবি মুক্তির ব্যাপারে ইতিমধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্স, জাজ মাল্টিমিডিয়াসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এহসানুল হক বাবু। তবে নিজেদের ব্যবস্থাপনায়ও ছবিটি মুক্তি দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি।