শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণ আক্তারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেছে আপিল বোর্ড।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ড এ ঘোষণা দেয়। এ ছাড়া শিল্পী সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর প্রার্থিতাও বাতিল করা হয়েছে।
এই বিজয়ে নিপুণ বলেন, ‘শুধু আমার জয় হয়নি, পুরো বাংলাদেশের জয় হয়েছে। আমার ভোটারদের অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। এজন্য জানাব যে, আজকে যদি ভোটের ব্যবধান অনেক বেশি হতো, তাহলে কিন্তু বোঝা যেত যে আমি এই জায়গাটার জন্য যোগ্য না। কিন্তু আমাদের ডিফারেন্স ছিল মাত্র অল্প ভোটের।’
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন থেকেই নির্বাচনকে ঘিরে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন নিপুণ। তিনি বলেন, ‘আমি অনেক কথা বলেছি। অনিয়মের কিছু ডকুমেন্ট আমি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পেশ করেছিলাম। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাতে হয়, ওনারা যেভাবে আমার পাশে ছিলেন এবং আপিল ডিভিশনকে যেভাবে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তাতে আমি কৃতজ্ঞ। একদম সত্য যেটা, সত্যের জয় হয়েছে। সে রায় ওনারা দিয়েছেন।’
শপথ কখন হবে, এ প্রশ্নে নিপুণ বলেন, ‘আমি এই চেয়ারটার জন্য লোভী না। এই চেয়ারটা আমার কাছে অত বেশি গুরুত্বপূর্ণ না। আমার কাছে যেটা গুরুত্বপূর্ণ, মানুষের জন্য কাজ করা, আমাদের চলচ্চিত্রের যেসব মানুষ আছেন ওনাদের জন্য কাজ করা, তাঁদের পাশে দাঁড়ানো। সেজন্য শপথ কখন হবে সেটা নিয়ে আমি অতটা এক্সাইটেড না।’
নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমে কী করবেন? ‘প্রথম থেকেই আমার যে পরিকল্পনা, আপনারা শুনে এসেছেন, প্রথম থেকেই বলছি যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এফডিসিতে নিয়ে আসতে চাই। এটাই আমার এখন প্রথম কাজ। ওনাকে এখানে আনতে হবে। উনি না আসলে এফডিসির অবস্থা ভালো হবে না। যে বিশ্বাস থেকে ভোটাররা আমাকে জয়ী করেছেন, তাদের সে বিশ্বাসটা আমি রাখতে চাই।’ বলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ।
জায়েদ খান যদি এ রায়ের বিপক্ষে আদালতে যান, তাহলে কী করবেন? এ প্রশ্নে নিপুণ বলেন, ‘আমি প্রস্তুত আছি।’
আরও পড়ুন: