ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের গতকাল মঞ্চ মাতিয়েছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিল্পীদের নিয়ে ট্রিপল টাইম কমিউনিকেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান ‘ম্যাজিকাল নাইট ২.০’ নামের এ কনসার্ট আয়োজন করে। এ কনসার্টে দর্শকদের মারামারি দাবিতে ২৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ‘তাপসী তাবাসসুম উর্মি (Tapashee Tabassum Urmi)’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভিডিওটি পোস্ট করে দাবি করা হয়, এটি আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত কনসার্টে আসা দর্শকদের মারামারির ভিডিও। এটি আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৮ লাখ ২০ হাজারের বেশি দেখা হয়েছে, শেয়ার হয়েছে ১ হাজারের বেশি।
পোস্টটি নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার দিয়েছেন নিঝুম মজুমদারও। তাঁর পোস্টেও হাজারের ওপর রিয়েকশন পড়েছে।
ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ে ভিডিওটি থেকে কিছু কি–ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চে ‘সজল সেন (SAJAL SEN)’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পাওয়া যায়। গতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত পৌনে দশটার দিকে অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ভিডিওটির সঙ্গে আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত কনসার্টে আসা দর্শকদের মারামারির দাবিতে ভাইরাল ভিডিওটির মিল রয়েছে। পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা, ‘চট্টগ্রাম অলংকার মোড়ে শপিং মলের ওপেনিং এ আয়োজনকৃত চেয়ার খেলা অনুষ্ঠান চলছে, আমরা কবে সভ্য হবো, টি–২০ ম্যাচ।’ ভিডিওটিতে ‘গ্র্যান্ড ওপেনিং’ লেখা একটি ব্যানার দেখা যায়।
এসব তথ্যের সূত্রে পরে আরও খুঁজে ‘জুয়েল মাহমুদ (Jowel Mahmud)’ নামের আরেকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে চট্টগ্রামের অলংকার মোড়ে হেভেন সিটি সেন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের একটি লাইভ ভিডিও পাওয়া যায়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় লাইভটি করা হয়। এই লাইভ ভিডিওর ৮ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে ‘গ্র্যান্ড ওপেনিং’ ব্যানার দেখা যায়।
আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত কনসার্টে দর্শকদের মারামারির দাবিতে ভাইরাল ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে এতে ‘গ্র্যান্ড ওপেনিং’ লেখা হুবহু একই ব্যানারের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
এই ব্যানারের সূত্রেই নিশ্চিত হওয়া যায় আর্মি স্টেডিয়ামের আতিফ আসলামের কনসার্টে দর্শকদের মারামারির দাবিতে ভাইরাল ভিডিওটি মূলত চট্টগ্রামের।
এ ছাড়া হেভেন সিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) তাদের সেন্টারটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় তিনি আসতে না পারায় দর্শকরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাঙচুর করেছে।