Ajker Patrika
হোম > বিশ্ব > আফ্রিকা

হত্যার পর মরদেহটি পোড়াতে গিয়েই আরও ৭৫ জনের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক

হত্যার পর মরদেহটি পোড়াতে গিয়েই আরও ৭৫ জনের মৃত্যু

গত বছরের ৩১ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছিল। এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। আলোচিত ওই ঘটনা নিয়ে এক ব্যক্তির স্বীকারোক্তির মাধ্যমে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

এ বিষয়ে আজ বুধবার দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির স্বীকারোক্তি ছিল অপ্রত্যাশিত। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো—বিষয়টির তদন্ত করার সময় সাক্ষ্য দিতে গিয়ে দায় স্বীকার করেন ওই ব্যক্তি। দাবি করেন, একটি মরদেহ পুড়িয়ে দিতে গিয়েই পুরো ভবনটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে ওই ঘটনাটিকে অন্যতম দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের দায় স্বীকার করা ওই ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখেছে পুলিশ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার গণমাধ্যম অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ‘মিস্টার অ্যাক্স’ নামে চিহ্নিত করছে। তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, যে রাতে ভবনটিতে আগুন লেগেছিল, সেই রাতেই ওই ভবনে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে এবং শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছিলেন তিনি। পরে তিনি নিহত মানুষটির গায়ে গ্যাসোলিন ঢেলে দেন এবং একটি ম্যাচ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।

মিস্টার অ্যাক্স আরও জানিয়েছেন, তিনি মাদক সেবন করেন এবং একজন মাদক কারবারির নির্দেশেই ওই ভবনটিতে বসবাস করা এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলেন।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করার পর ২৯ বছর বয়সী মিস্টার অ্যাক্সকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে ৭৬ জনকে হত্যা এবং ১২০ জনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ড ঘটানোর জন্যও আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মিস্টার অ্যাক্স বিশ্বাস করেন, হত্যার পর মরদেহটি জ্বালিয়ে দিতে তাঁর দেওয়া আগুনই ওই পাঁচতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়েছিল। এ ঘটনায় নিহতদের মধ্য অন্তত ১২টি শিশুও ছিল।

দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ জানিয়েছে, মিস্টার অ্যাক্সকে শিগগিরই আদালতে তোলা হবে। তবে এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানানো হয়নি।

গত বছরের আগস্টে জোহানেসবার্গের শহরতলিতে অবস্থিত ওই ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি সারা বিশ্বের মনোযোগ কেড়েছিল। নগর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন এই ধরনের বেশ কিছু ভবন কিছু অবৈধ বাড়িওয়ালার দ্বারা পরিচালিত হয়। সাধারণত গরিব, খেটে খাওয়া মানুষ এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় অবৈধভাবে বসবাস করছেন—এমন মানুষেরাই এ ধরনের ভবনে থাকেন।

মিস্টার অ্যাক্স দাবি করেছেন, পুড়ে যাওয়া ভবনটিতে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হতো এবং মাদক কারবারিরাই এই ভবনটি পরিচালনা করত।

উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের রাতে ভবনটির বেশির ভাগ বহির্গমন পথই তালাবদ্ধ ছিল। ফলে অসংখ্য মানুষ ভবনের ভেতরে আটকে গিয়েছিলেন। এসব মানুষের অনেকেই জানালা দিয়ে মাটিতে লাফিয়ে পড়েছেন। আবার কেউ কেউ তাঁদের সন্তানদের নিচে ছুড়ে ফেলেছেন এই আশায় যে জড়ো হওয়া মানুষ শূন্যের ওপরই তাদের ধরে ফেলবেন। এতে অনেকের হাত, পা ও মেরুদণ্ড ভেঙে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার নির্দেশে অগ্নিকাণ্ডের কারণ বের করার জন্য গত বছরের অক্টোবর থেকে উদ্ধারকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তদন্ত চলছিল।

সুদান থেকে যেভাবে পাচার হচ্ছে কোকাকোলা ও দামি চকলেটের মূল উপাদান

সুদানে এক বছর বয়সী শিশুদেরকেও ধর্ষণ করছে সশস্ত্র সেনারা: ইউনিসেফ

সুদানে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু

কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে সংঘর্ষে দুই মাসে নিহত ৭ হাজারে বেশি: প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বের প্রথম সমকামী ইমাম মুহসিন হেনড্রিকসকে গুলি করে হত্যা

মালিতে সোনার খনি ধসে নিহত ৪০

টেকনোক্র্যাট সরকার গঠনের পথে সুদান

লিবিয়ায় দুটি গণকবরে মিলল ৫০ অভিবাসীর মরদেহ

৯৫ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন নামিবিয়ার ‘জাতির পিতা’ নুজোমা

আফ্রিকান বিলিয়নিয়ারের এক্স অ্যাকাউন্ট হ্যাক, ক্রিপটো স্ক্যামে কোটি টাকা লোপাট