সুদানে সেনা অভ্যুত্থানের সংবাদে আজ সোমবার খার্তুমের রাস্তায় নেমে এসেছে মানুষ। এর আগে সোমবার সকালে সামরিক বাহিনীর একদল সদস্য সুদানের প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লাহ হামদককে গৃহবন্দী করে। খবর বিবিসির।
প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা, দেশটির ক্ষমতাসীন সার্বভৌম কাউন্সিলের সদস্য, মন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের পরই হামদককে গৃহবন্দী করার ঘটনা ঘটে। আটকদের মধ্যে শিল্পমন্ত্রী ইব্রাহিম আল শেখ, তথ্যমন্ত্রী হামজা বালুল এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ফয়সাল মোহাম্মদ সালেহ রয়েছেন। সুদানের ক্ষমতাসীন সার্বভৌম কাউন্সিলের মুখপাত্র মোহাম্মদ আল-ফিকি সুলিমান এবং সুদানের রাজধানী খার্তুমের গভর্নর আয়মান খালিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফেসবুকে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যৌথ সামরিক বাহিনী গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়েছে। গ্রেপ্তারদের অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লাহ হামদক জানিয়েছেন, অভ্যুত্থান সমর্থনের জন্য তাঁকে চাপ প্রয়োগ করা হলেও তবে তিনি অভ্যুত্থান সমর্থন করেননি। তিনি জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে বিপ্লবের কথা বলেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খার্তুমের বিমানবন্দর বন্ধ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়েছে।
আল-জাজিরার সাংবাদিক হিবা মরগান বলেন, 'সুদানে ‘টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা হয়েছে’। আপাতত তাই ‘কী হচ্ছে সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া খুব কঠিন’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।'
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভ্যুত্থানের সংবাদে গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেছে।
সুদানের গণতন্ত্রপন্থী দলগুলো সমর্থকদের যেকোনো সামরিক অভ্যুত্থান প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছে।
আল জাজিরা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, এর আগেও গত মাসে দেশটিতে অভ্যুত্থানচেষ্টা হয়। সাবেক নেতা ওমর আল-বশিরের পতনের পর সুদানে সামরিক ও বেসামরিক গোষ্ঠীর মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়।