বিচার বিভাগে প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে রাজপথে বিক্ষোভে নেমেছেন তিউনিসিয়ার বিচারকেরা। দুর্নীতি এবং ‘সন্ত্রাসীদের’ রক্ষা করার অভিযোগে ৫৭ জন সহকর্মীকে বরখাস্ত করার কয়েকদিন পরই রাস্তায় নামলেন বিচারকেরা। সপ্তাহব্যাপী ধর্মঘট ডেকেছেন তাঁরা।
সোমবার (৬ জুন) থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘট তিউনিসিয়ার রাজনীতিবিদ, প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সমাজের ক্রমবর্ধমান সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সর্বশেষ ঘটনা। দেশটির রাজনৈতিক সংকট ক্রমেই গভীর হচ্ছে।
গত জুলাইয়ে দেশের নির্বাচিত সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাহী ক্ষমতা দখল করেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ। একটি টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, ‘একের পর এক সুযোগ দিয়েছি এবং বিচার বিভাগকে বহুবার সতর্ক করেছি।’ এই ঘোষণাতে বিচার বিভাগের ওপর প্রেসিডেন্টের নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করে নতুন ডিক্রি জারি করেন তিনি।
আরব বসন্তের পর একমাত্র গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সর্বশেষ এমন হস্তক্ষেপ বিচারক এবং অন্যান্য নাগরিক সমাজের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বিচারকদের চারটি ইউনিয়ন ‘বিচার বিভাগে প্রেসিডেন্টের ক্রমাগত হস্তক্ষেপের’ প্রতিবাদ জানাতে দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এক সপ্তাহ আদালতে বসবেন না তাঁরা। তবে সন্ত্রাস সংশ্লিষ্ট মামলার আদালত খোলা থাকবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল, যেটি বিচারকদের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে, সেটি ভেঙে দেন। তিউনিসিয়ায় ২০১১ সালের বিপ্লবের পর থেকে কাউন্সিলটি বিচারিক স্বাধীনতার প্রধান গ্যারান্টর হিসেবে কাজ করে আসছিল।
সেই সময় তিউনিসিয়ার বিচারকদের সমিতি কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রত্যাবর্তনের আশঙ্কার মধ্যে, শীর্ষ বিচার বিভাগীয় ওয়াচডগ ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে দেশের সব আদালতে দুই দিনের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।