গত সোমবার (২৫ অক্টোবর) অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের হটিয়ে সুদানের ক্ষমতা দখলে নেয় সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে অভ্যুত্থানবিরোধীদের সংঘর্ষ বাঁধে। দেশটির হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। এ পর্যন্ত সুদানে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১১ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সুদানের সেনাবাহিনীর ওপর ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে। আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, 'অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রও বিক্ষোভকারীদের পাশে আছে। সুদান সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের পরিষ্কার বার্তা, জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভের অনুমতি দিতে হবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে সুদানে যে ঘটনা ঘটেছে এটি গুরুতর। যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই সুদানের জনগণ এবং তাঁদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পাশে রয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে।'
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সুদানের জন্য ৭০ কোটি (৭০০ মিলিয়ন) ডলার অনুদান স্থগিত করেছে। অবস্থার পরিবর্তন না হলে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সুদানের বিরুদ্ধে একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সাবেক নেতা ওমর আল-বশিরের পতনের পর সুদানে সামরিক ও বেসামরিক গোষ্ঠীর মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। এর আগেও গত মাসে দেশটিতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়।