অনলাইন ডেস্ক
তিন আঙুল বিশিষ্ট ও পুতুল সদৃশ শারীরিক অবয়ব দেখে অনেকেই ধারণা করেছিলেন এগুলো পৃথিবীর বাইরের কোনো প্রাণী অর্থাৎ এলিয়েন। অবশেষে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞেরা রহস্যময় ওই বস্তুগুলোর প্রকৃত তথ্য উপস্থাপন করেছেন।
রোববার টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবরে রহস্যময় ওই বস্তুগুলোকে মেক্সিকোতে পাচারের সময় আটক করেছিল পেরুর কাস্টমস কর্মকর্তারা। পরে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগুলোকে বিশেষজ্ঞদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন—প্রায় এক ফুট দীর্ঘ ওই শারীরিক অবয়বগুলো মূলত কাগজ, গ্লু, ধাতু এবং মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর হাড় দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান ফ্ল্যাভিও এস্ত্রাদা বলেছেন, ‘ওই বস্তুগুলোকে অন্য গ্রহের বলে যে দাবি করা হয়, সেগুলো পুরোপুরিভাবে মিথ্যা।’
সাংবাদিকদের কাছে এস্ত্রাদা আরও বলেন, ‘উপসংহার খুব সাধারণ। এগুলো আসলে এই গ্রহেরই বিভিন্ন প্রাণীর হাড় এবং আধুনিক সিনথেটিক গ্লু দিয়ে তৈরি পুতুল।’
আধুনিক গ্লু ব্যবহারের ফলে এগুলোকে হিস্পানিক যুগের আগের বলারও কোনো উপায় নেই বলে জানান এস্ত্রাদা। তিনি বলেন, ‘এগুলো মহাজাগতিক কিছু নয়, এগুলো এলিয়েন নয়।’
পুতুল দুটি লাল, কমলা এবং সবুজ কাপড় পরানো অবস্থায় ছিল। বিশেষজ্ঞরা জানান—এগুলো তৈরিতে পাখি, কুকুর এবং আরও কিছু প্রাণীর হাড় ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি তিন আঙুলবিশিষ্ট হাতগুলো মানুষের হাড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
পেরুর প্রসিকিউটরের কার্যালয় এখনো নির্ধারণ করেনি যে বস্তুগুলোর মালিক কে। গত শুক্রবার কর্মকর্তারা শুধু জানান, শুল্ক এজেন্টদের দ্বারা জব্দ করার আগে বস্তুগুলোর প্রাপক ছিলেন একজন ম্যাক্সিকান নাগরিক।