Ajker Patrika
হোম > বিশ্ব > এশিয়া

আত্মহত্যা করলেন বিশ্বখ্যাত চীনা ভাষার ঔপন্যাসিক চিউং

আত্মহত্যা করলেন বিশ্বখ্যাত চীনা ভাষার ঔপন্যাসিক চিউং
চীনা ভাষার জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক চিয়াং ইয়াও। ছবি: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

চীনা ভাষায় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় রোম্যান্টিক ঔপন্যাসিকদের মধ্যে অন্যতম চিউং ইয়াও আত্মহত্যা করেছেন। বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় আজ বুধবার তাইওয়ানের নিউ তাইপেই সিটিতে অবস্থিত নিজ বাড়িতে মারা গেছেন চিউং। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

চিউং ইয়াও ১৮ বছর বয়সে লেখালেখি শুরু করেছিলেন। জীবদ্দশায় তিনি ৬০ টিরও বেশি উপন্যাস প্রকাশ করেছেন। এসব উপন্যাসের বেশির ভাগই পরে সিনেমা ও টিভি সিরিজে রূপান্তরিত হয়েছে। এগুলো টানা কয়েক দশক ধরে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছিল।

বিবিসি জানিয়েছে, চিউং কেবল ঔপন্যাসিকই ছিলেন না। তিনি একজন সফল চিত্রনাট্যকার এবং প্রযোজকও ছিলেন। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কাজগুলোর মধ্যে একটি হলো টিভি নাটক ‘মাই ফেয়ার প্রিন্সেস’। এই নাটকের মধ্য দিয়ে বড় মাপের অনেক তারকার ক্যারিয়ার শুরু করার মঞ্চ তৈরি হয়েছিল।

চিউং ইয়াও ১৯৩৮ সালে চীনের সিচুয়ান প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জন্মের পর তাঁর নাম চেন চে রাখা হলেও তিনি চিউং ইয়াও ছদ্মনামেই বিশ্বজুড়ে পরিচিত ছিলেন।

চিউংয়ের আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস ‘আউটসাইড দ্য উইনডো’। মূলত তাঁর হাইস্কুলের এক শিক্ষকের সঙ্গে প্রেমের গল্পকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছিল উপন্যাসটি। পরবর্তীতে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

চীন-জাপান যুদ্ধের সময় চীনে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করেছেন চিউং। ১৯৪৯ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি মূল ভূখণ্ডে ক্ষমতা দখল করার পর তাঁর পরিবার তাইওয়ানে চলে যায়।

চিউং ইয়াও-এর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বুধবার একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এতে লেখা ছিল, ‘বিদায়, আমার প্রিয়জনেরা। এই জীবনে তোমাদের সঙ্গে দেখা হওয়ার জন্য আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি।’

ধারণা করা হচ্ছে, আত্মহত্যার আগে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমেই তিনি এর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে একই পোস্টে তিনি তাঁর ভক্তদের প্রতি আহ্বান জানান, ‘জীবনকে সহজে ত্যাগ করো না এবং কেবল তখনই মৃত্যুর মুখোমুখি হও, যখন তুমি ৮৬ বা ৮৭ বছর বয়স হয়ে যাবে।’

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খুব বেশি সক্রিয় ছিলেন না চিউং। তবে ২০১৭ সালে অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে তাঁর সৎ সন্তানদের বিরোধের জন্য তিনি সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিলেন।

চিউংয়ের টিভি নাটক ‘মাই ফেয়ার প্রিন্সেস’ নির্মিত হয়েছিল চীনের অষ্টাদশ শতাব্দীর কিং রাজবংশের পটভূমিতে। সিন্ডারেলা-ধাঁচের গল্প দিয়ে তৈরি এই নাটকের মধ্য দিয়ে ফ্যান বিংবিং-এর মতো চীনা বিনোদন জগতের অনেক বড় মাপের তারকাদের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল।

এই নাটকের প্রধান অভিনেত্রী রুবি লিন এবং ঝাও ওয়েই চীনা দর্শকদের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। রুবি লিন এখনো তাইওয়ানে অভিনেত্রী এবং প্রযোজক হিসেবে সক্রিয় থাকলেও ঝাও ওয়েই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নীরব হয়ে গেছেন।

চিউং ইয়াও তাঁর লেখার মাধ্যমে চীনা সাহিত্য এবং বিনোদন জগতে গভীর প্রভাব রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যু ভক্তদের হৃদয়ে গভীর শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। তাঁর কাজ এবং স্মৃতি আগামী প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

চীনে চালু হচ্ছে আরেক বিস্ময়—বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতু

ইউনেসকো গ্লোবাল জিওপার্কের স্বীকৃতি পেল উত্তর কোরিয়ার পবিত্র পর্বত

তীব্র তাপপ্রবাহে এখনই বেহাল ভারত ও পাকিস্তান—এবার কী যে হবে

জনসংখ্যা হ্রাসে নতুন রেকর্ড গড়ল জাপান

মালদ্বীপে ইসরায়েলিদের প্রবেশ নিষেধ

পয়লা বৈশাখে নববর্ষ উদ্‌যাপিত হয় যেসব দেশে

যেভাবে নববর্ষ উদ্‌যাপন করলেন থাইল্যান্ডের মানুষ

বিশ্বের সেরা ১০ বিমানবন্দরের ৬টিই এশিয়ার, বাংলাদেশের অবস্থান কত

ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার

বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল প্রটোকলের খসড়া চূড়ান্ত