গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এশিয়াজুড়ে চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশ বাসিন্দাদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে। স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে অনেক দেশ। চলতি এপ্রিল মাসে থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, চীন, লাওস, বাংলাদেশ, ভারতসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও আবহাওয়া ইতিহাসবিদ ম্যাক্সিমিলিয়ানো হেরেরা অস্বাভাবিক এই উচ্চ তাপমাত্রাকে ‘এশিয়ায় এপ্রিলে সবচেয়ে খারাপ তাপপ্রবাহের রেকর্ড’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
মঙ্গলবার মিয়ানমারের চারটি আবহাওয়া কেন্দ্রে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলীয় মন রাজ্যের থিনজায়েতে সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। বুধবার ইয়াঙ্গুনের উত্তর-পূর্বের বাগোতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০২০ সালের মে এবং ২০১৯ সালের এপ্রিলে এমন তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়।
চরম গরমে বিদ্যুতের ব্যবহারও বেড়েছে। থাই সরকারের মুখপাত্র আনুচা বুরাপাচাইসরি বলেন, ৬ এপ্রিল দেশটিতে রেকর্ড ৩৯ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়, যা গত বছরের এপ্রিলে ৩২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহারের রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু অংশে চলতি মাসে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। কিছু কিছু দেশের তাপমাত্রা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারত উল্লেখযোগ্য। গত ১৫ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা রাজধানীতে ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সবশেষ ১৯৬৫ সালের এপ্রিল মাসে ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।