ঢাকা: মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে এখন ক্ষমতায় সামরিক সরকার। এই সরকারের নিয়োগ করা নির্বাচন কমিশন কারাবন্দী সু চির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নিবন্ধন বাতিল করতে চলেছে। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, গত নভেম্বরের নির্বাচন দলটি কারচুপি করে জিতেছিল। আজ শুক্রবার দেশটির এক নির্বাচন কমিশনারের বরাত দিয়ে ‘মিয়ানমার নাউ’ প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্রে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এ ব্যাপারে মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান থেইন সোয়ে বলেছেন, নির্বাচনে কারচুপি করা বেআইনি। তাই আমরা এনএলডির নিবন্ধন বাতিল করতে যাচ্ছি।
‘মিয়ানমার নাউ’–এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার জান্তা সরকার দেশের সবগুলো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিল। কিন্তু সেই সভাটি বয়কট করে এনএলডিসহ মিয়ানমারে সক্রিয় সব রাজনৈতিক দল। ওই মতবিনিময় সভাতেই নির্বাচনে কারচুপির কারণ দেখিয়ে এনএলডির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে দেশটির ক্ষমতা দখল করে নেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী জনগণ ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটিতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের শুরুর দিকে কিছুটা সংযত থাকলেও যত সময় গড়াতে থাকে ততই মারমুখী হয়ে ওঠে সেনাবাহিনী। বিক্ষোভকারীদের দমাতে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও গুলি ছোড়ে। বেশ কয়েকদিন ধরে চলা সংঘর্ষে ৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন।
অভ্যুত্থানের পরপরই সু চি ও তার দলের শীর্ষ নেতাদের আট করে সেনা সরকার। অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা, ক্ষমতায় থাকাকালে ঘুষগ্রহণ ও রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য পাচারসহ কয়েকটি অভিযোগে বর্তমানে সু চির বিচার চলছে। তবে তাকে আদালতে সশরীরে উপস্থিত করা হচ্ছে না। শুধু ভিডিওকলের মাধ্যমে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে পারছেন সু চি।