ঢাকা: মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ এনেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা। বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশনের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অভিযোগে অভিযুক্ত হলে ১৫ বছরের জেল হতে পারে সু চির।
মিয়ানমারের দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজধানী নেপিডোতে দাতব্য সংস্থা দো খিন কি-এর জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি জমি এবং একটি বাড়ি ভাড়া করেছিলেন সু চি। ওই দাতব্য সংস্থার প্রধানও ছিলেন সু চি। পাশাপাশি ক্ষমতায় থাকার সময় ছয় লাখ ডলার ও স্বর্ণ ঘুষ নিয়েছিলেন সু চি।
দুর্নীতি ছাড়াও অনুমোদনহীন ওয়াকি টকি ব্যবহার, রাষ্ট্রের গোপন তথ্য পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে সু চির বিরুদ্ধে মোট ৬টি মামলা করেছে জান্তা। ২০২০ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের জাতীয় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। মিয়ানমারের সেনা প্রধান মিন অং হ্লাইং এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। আগামী ১৪ জুন থেকে মিয়ানমারের আদালতে অং সান সু চির বিচার শুরু হচ্ছে। গত ৭ জুন সু চির আইনজীবী মিন মিন সোয়ে ফ্রান্সের বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।