অনলাইন ডেস্ক
চীনের সরকার বা স্টেট কাউন্সিলের ওপর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নিয়ন্ত্রণ আরও বেশি করার লক্ষ্যে একটি নতুন আইন পাস হয়েছে। একদলীয় শাসনের এই দেশটির পার্লামেন্ট বলে পরিচিত ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের অধিবেশনে আজ সোমবার এই আইন পাস হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চীনের স্টেট কাউন্সিল বা রাষ্ট্রীয় পরিষদ পরিচালনা সংক্রান্ত আইনের সংশোধনীটির পক্ষে ভোট পড়ে ২ হাজার ৮৮৩টি এবং মাত্র ৮ জন প্রতিনিধি এই আইনের বিরোধিতা করেন। এ ছাড়া অপর ৯ জন প্রতিনিধি এই প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দেওয়া হয়েছে বিরত থাকেন।
বিগত কয়েক বছর ধরেই স্টেট কাউন্সিলের ওপর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রাধান্য বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ আজ আরও খর্ব করা হলো এর শক্তি। সাধারণত, চীনের স্টেট কাউন্সিলের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। চীনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের নেতৃত্বে এই মন্ত্রিসভায় ২১ জন মন্ত্রী আছেন। এ ছাড়া, দেশটির বিভিন্ন প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক প্রশাসনও এই স্টেট কাউন্সিলের অধীন।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৮২ সালে প্রথমবার চীনের স্টেট কাউন্সিল আইনের সংশোধনীর মাধ্যমে কমিউনিস্ট পার্টির হাতে আরও ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রবণতা শুরু হয়। যা এখনো অব্যাহত। সংশোধনীর মাধ্যমে নতুন করে যুক্ত অনুচ্ছেদ জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে স্টেট কাউন্সিলকে অবশ্যই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কর্তৃত্ব, এর কেন্দ্রীভূত ও ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বকে দৃঢ়ভাবে মেনে চলতে হবে এবং শি চিন পিংয়ের চিন্তাধারা অনুসরণ করতে হবে।
হংকংয়ের চায়নিজ ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক রায়ান মিচেল বলেন, ‘এটি চীনে নির্বাহী কর্তৃত্বের পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।’ তাঁর মতে, পার্টির প্রধানই সামগ্রিকভাবে সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হওয়ায় সামগ্রিকভাবে নীতি নির্ধারণে একটি অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার সৃষ্টি হবে।