আজকের পত্রিকা ডেস্ক

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের কথা কখনো ভাবেননি কাও মিনজিয়ে। কিন্তু চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্য রকম এক যুদ্ধ দেশপ্রেমিক হিসেবে তাঁকে বিনিয়োগকারীর খাতায় নাম লিখিয়েছে। চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশের গৃহসজ্জাবিদ কাওয়ের মতো বহু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে শেয়ারবাজারে টেনে এনেছে বারুদের গন্ধবিহীন এই যুদ্ধ।
বাণিজ্যযুদ্ধ নামে এর মধ্যেই পরিচিতি পাওয়া এই যুদ্ধের শুরু হল সেদিন, যেদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ববাণিজ্যের ইতিহাসে নজিরবিহীন এক কাণ্ড করে বসলেন! মূলত চীনকে টার্গেট করে কয়েক ডজন দেশের ওপর ব্যাপক হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন তিনি। কিন্তু সেটাকে গ্রহণযোগ্য করতে নাম দেন ‘পাল্টা শুল্ক’ এবং ঘোষণার দিন ২ এপ্রিলকে ‘লিবারেশন ডে’ বা মুক্তির দিন ঘোষণা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাণিজ্যযুদ্ধ ঘোষণার সেই দিনেই বাজারে ঢোকার সিদ্ধান্ত নেন কাও মিনজিয়ে। দেশের অর্থনীতি বাঁচানোর লড়াইয়ে শামিল হতে প্রতি মাসে দুই হাজার ইউয়ান (প্রায় ২৭৪ ডলার) চীনের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
কাও জানান, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পর চীনা শেয়ারবাজারে ধস নামলে তিনি ব্রোকারেজ হাউসে নিজের অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেন। কাও বলেন, ‘আমার উদ্দেশ্য মুনাফা নয়। এটা আমার দেশের জন্য কিছু করা। এই বাণিজ্যযুদ্ধে প্রতিটি নাগরিকের উচিত শেষ পর্যন্ত দেশের পাশে থাকা।’
ব্যবসায়ী ও ব্রোকাররা বলছেন, জাতীয় চেতনা থেকে হাজারো বিনিয়োগকারী চীনের শেয়ারবাজার রক্ষায় এগিয়ে আসছেন। প্রধানত প্রতিরক্ষা, ভোক্তাসামগ্রী ও সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের মতো চীনের জাতীয় স্বার্থের জন্য উপকারী খাতগুলোতে বিনিয়োগ করছেন তাঁরা।
চীনের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সাধারণত লাভের আশায় শেয়ারবাজারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এবার অন্য রকম দেশপ্রেম তাঁদের উদ্বুদ্ধ করছে। এই ‘দেশপ্রেমিক মনোভাব’ চীন সরকারের জন্য স্বস্তির। কারণ, তাঁরা বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে সৃষ্ট আতঙ্ক দূর করে পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে চাইছে।
ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর ৪ এপ্রিল চীনের শেয়ারবাজারে বড় ধস হয়। কিন্তু এরপর বাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বাজারে ৪৫ বিলিয়ন ইউয়ান নিট বিনিয়োগ করেছেন। আর ঘোষণার আগের ছয় কার্যদিবসে মোট ৯১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউয়ান মূলধন হারায় চীনের শেয়ারবাজার।
এর আগে ২০১৫ সালের শেয়ারবাজার ধসের পর প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর সরকারের কড়াকড়ির সময় বেসরকারি ও রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এবার ট্রাম্পের চোখ ধাঁধানো শুল্কের হুমকি তাঁদের এক কাতারে দাঁড় করিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
৭ এপ্রিল চীনের শেয়ারবাজারের সূচকে ৭ শতাংশ পতনের পর রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি করে শেয়ার কেনার অঙ্গীকার করে; শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউসগুলো বাজার স্থিতিশীল রাখার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং অনেক কোম্পানি শেয়ার কিনে নেওয়ার পরিকল্পনা জানায়। গত সপ্তাহেই চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং বাজার স্থিতিশীল করতে সরকারি কর্মকর্তাদের আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।
এপ্রিলের শুরুতে চীনের শেয়ারবাজারের সূচকের পতন হয়ে সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছানোর পর ৮ শতাংশ উঠে দাঁড়িয়েছে। আর এই মাসে দরপতন হয়েছে মাত্র ১ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে মার্কিন শেয়ারবাজারে এই সময়ে ৮ শতাংশের বেশি দরপতন হয়েছে।
ইউবিএস সিকিউরিটিজের চীনা শেয়ারবাজারবিষয়ক কৌশলবিদ মেং লেই বলেন, ‘আমরা মনে করি, চীনের এই শেয়ারবাজার এখন কৌশলগতভাবে আরও গুরুত্বপূর্ণ। দেশপ্রেমিক বিনিয়োগগুলো বিনিয়োগকারীদের মনোবল অনেকটাই বাড়িয়েছে।’
শেয়ারবাজার যেভাবে লড়াইয়ের ক্ষেত্র
চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নিংশিয়া অঞ্চলের বিনিয়োগকারী ঝৌ লিফেং শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন। এমনকি তাতে লোকসানের আশঙ্কা থাকলেও তিনি পিছু হটবেন না। পর্বতারোহী ঝৌয়ের কাছে এখন দেশপ্রেম মানে ‘শেয়ার ধরে রাখা’। তিনি জানান, ভোক্তা ও প্রতিরক্ষা খাতের শেয়ারে তাঁর ৩০ লাখ ইউয়ান বিনিয়োগ আছে। বিনিয়োগ করার মতো আরো ৭০ লাখ ইউয়ান তাঁর হাতে আছে।
রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী শু হাও বলেন, তিনিও প্রযুক্তি ও ভোক্তা খাতের শেয়ারে কয়েক মিলিয়ন ইউয়ান বিনিয়োগ করেছেন। বাণিজ্যযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিকারকদের সহায়তায় দেশীয় খুচরা জায়ান্টদের নানা উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসা তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে।
চীনা রপ্তানিকারকদের জন্য নানা সহায়তা ঘোষণা করেছে জেডি.কম, আলিবাবার মালিকানাধীন ফ্রেশিপ্পো, সুপার মার্কেট চেইন সিআর ভ্যানগার্ড ও ইয়ংহুই সুপারস্টোরস। শু বলেন, মানুষ এখন নানা উপায়ে দেশপ্রেম প্রকাশ করছে।
বিনিয়োগের ক্ষেত্র নির্বাচনেও ফুটে উঠেছে এই দেশপ্রেম। যেসব খাতে বেইজিংয়ের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার লক্ষ্য আছে এবং শুল্কের কারণে যেসব খাতের চীনা কোম্পানি বিশ্ববাজার থেকে ছিটকে পড়ছে, সেসব খাতেই মানুষ অর্থ ঢালছে। ভোক্তা ও চিপসংশ্লিষ্ট শেয়ারগুলোর দাম বেড়েছে। পর্যটন ও কৃষিভিত্তিক শেয়ারগুলোও দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

চীনে দ্রুত জনপ্রিয় হতে থাকা এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডেও (ইটিএফ) অর্থ ঢুকছে। ৭ এপ্রিলের ধসের পর থেকে চীনা ইটিএফে ২৩০ বিলিয়ন ইউয়ানের বেশি বিনিয়োগ এসেছে। এর ফলে এই খাতের আকার প্রথমবারের মতো ৪ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে গেছে।
বারুদের গন্ধ নেই, তবু চলছে যুদ্ধ
পেশাদার বিনিয়োগকারীরাও দেশপ্রেমের টানে নতুন করে নিজেদের বিনিয়োগ পোর্টফোলিও সাজাচ্ছেন। হেজ ফান্ড ম্যানেজার ইয়াং টিংউ বলেন, তিনি নিজের পোর্টফোলিওতে বসে থাকা সব অর্থ শেয়ারবাজারে ঢেলে দিয়েছেন। কৃষি, শক্তি, আর্থিক ও প্রতিরক্ষা খাতে তিনি বিনিয়োগ করেছেন।
টংহেং ইনভেস্টমেন্টের পোর্টফোলিও ম্যানেজার ইয়াং বলেন, ‘এটা যুদ্ধ, শুধু বারুদের গন্ধ নেই। এটা শুধু আপনার পোর্টফোলিও নয়, আপনার দেশের ভবিষ্যতের ওপরও বাজি ধরা।’
শাংহাইভিত্তিক মাইনরিটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা লিয়াম ঝৌ জানান, তিনি এক বিলিয়ন ডলারের পুরো পোর্টফোলিও চীনা শেয়ারে বিনিয়োগ করেছেন।
এই বাণিজ্যযুদ্ধ জিয়াংসু প্রদেশের শিক্ষিকা ন্যান্সি লুর মতো, অনেক চীনা বিনিয়োগকারীকে আবার ‘উগ্র দেশপ্রেমিক’ করে তুলেছে। ন্যান্সি বলেন, ‘আমার পোর্টফোলিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, কিন্তু আমি পরোয়া করি না। যুক্তরাষ্ট্রের দমননীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমি সরকারের পাশে থাকব।’
তিনি বলেন, ‘আমি একটি শেয়ারও বিক্রি করব না। আমি আমার দেশের বাজার রক্ষা করব। একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী হিসেবে কখনো এত গর্ব অনুভব করিনি।’ মার্কিন ব্র্যান্ড বয়কটের অংশ হিসেবে আর কখনো কফির জন্য স্টারবাকে যাবেন না বা নাইকি পরবেন না বলে ন্যান্সি লু প্রতিজ্ঞা করেন।
(১ ডলার = ৭.২৯১৭ ইউয়ান)

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের কথা কখনো ভাবেননি কাও মিনজিয়ে। কিন্তু চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্য রকম এক যুদ্ধ দেশপ্রেমিক হিসেবে তাঁকে বিনিয়োগকারীর খাতায় নাম লিখিয়েছে। চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশের গৃহসজ্জাবিদ কাওয়ের মতো বহু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে শেয়ারবাজারে টেনে এনেছে বারুদের গন্ধবিহীন এই যুদ্ধ।
বাণিজ্যযুদ্ধ নামে এর মধ্যেই পরিচিতি পাওয়া এই যুদ্ধের শুরু হল সেদিন, যেদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ববাণিজ্যের ইতিহাসে নজিরবিহীন এক কাণ্ড করে বসলেন! মূলত চীনকে টার্গেট করে কয়েক ডজন দেশের ওপর ব্যাপক হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন তিনি। কিন্তু সেটাকে গ্রহণযোগ্য করতে নাম দেন ‘পাল্টা শুল্ক’ এবং ঘোষণার দিন ২ এপ্রিলকে ‘লিবারেশন ডে’ বা মুক্তির দিন ঘোষণা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাণিজ্যযুদ্ধ ঘোষণার সেই দিনেই বাজারে ঢোকার সিদ্ধান্ত নেন কাও মিনজিয়ে। দেশের অর্থনীতি বাঁচানোর লড়াইয়ে শামিল হতে প্রতি মাসে দুই হাজার ইউয়ান (প্রায় ২৭৪ ডলার) চীনের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
কাও জানান, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পর চীনা শেয়ারবাজারে ধস নামলে তিনি ব্রোকারেজ হাউসে নিজের অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেন। কাও বলেন, ‘আমার উদ্দেশ্য মুনাফা নয়। এটা আমার দেশের জন্য কিছু করা। এই বাণিজ্যযুদ্ধে প্রতিটি নাগরিকের উচিত শেষ পর্যন্ত দেশের পাশে থাকা।’
ব্যবসায়ী ও ব্রোকাররা বলছেন, জাতীয় চেতনা থেকে হাজারো বিনিয়োগকারী চীনের শেয়ারবাজার রক্ষায় এগিয়ে আসছেন। প্রধানত প্রতিরক্ষা, ভোক্তাসামগ্রী ও সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের মতো চীনের জাতীয় স্বার্থের জন্য উপকারী খাতগুলোতে বিনিয়োগ করছেন তাঁরা।
চীনের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সাধারণত লাভের আশায় শেয়ারবাজারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এবার অন্য রকম দেশপ্রেম তাঁদের উদ্বুদ্ধ করছে। এই ‘দেশপ্রেমিক মনোভাব’ চীন সরকারের জন্য স্বস্তির। কারণ, তাঁরা বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে সৃষ্ট আতঙ্ক দূর করে পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে চাইছে।
ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর ৪ এপ্রিল চীনের শেয়ারবাজারে বড় ধস হয়। কিন্তু এরপর বাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বাজারে ৪৫ বিলিয়ন ইউয়ান নিট বিনিয়োগ করেছেন। আর ঘোষণার আগের ছয় কার্যদিবসে মোট ৯১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউয়ান মূলধন হারায় চীনের শেয়ারবাজার।
এর আগে ২০১৫ সালের শেয়ারবাজার ধসের পর প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর সরকারের কড়াকড়ির সময় বেসরকারি ও রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এবার ট্রাম্পের চোখ ধাঁধানো শুল্কের হুমকি তাঁদের এক কাতারে দাঁড় করিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
৭ এপ্রিল চীনের শেয়ারবাজারের সূচকে ৭ শতাংশ পতনের পর রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি করে শেয়ার কেনার অঙ্গীকার করে; শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউসগুলো বাজার স্থিতিশীল রাখার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং অনেক কোম্পানি শেয়ার কিনে নেওয়ার পরিকল্পনা জানায়। গত সপ্তাহেই চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং বাজার স্থিতিশীল করতে সরকারি কর্মকর্তাদের আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।
এপ্রিলের শুরুতে চীনের শেয়ারবাজারের সূচকের পতন হয়ে সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছানোর পর ৮ শতাংশ উঠে দাঁড়িয়েছে। আর এই মাসে দরপতন হয়েছে মাত্র ১ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে মার্কিন শেয়ারবাজারে এই সময়ে ৮ শতাংশের বেশি দরপতন হয়েছে।
ইউবিএস সিকিউরিটিজের চীনা শেয়ারবাজারবিষয়ক কৌশলবিদ মেং লেই বলেন, ‘আমরা মনে করি, চীনের এই শেয়ারবাজার এখন কৌশলগতভাবে আরও গুরুত্বপূর্ণ। দেশপ্রেমিক বিনিয়োগগুলো বিনিয়োগকারীদের মনোবল অনেকটাই বাড়িয়েছে।’
শেয়ারবাজার যেভাবে লড়াইয়ের ক্ষেত্র
চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নিংশিয়া অঞ্চলের বিনিয়োগকারী ঝৌ লিফেং শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন। এমনকি তাতে লোকসানের আশঙ্কা থাকলেও তিনি পিছু হটবেন না। পর্বতারোহী ঝৌয়ের কাছে এখন দেশপ্রেম মানে ‘শেয়ার ধরে রাখা’। তিনি জানান, ভোক্তা ও প্রতিরক্ষা খাতের শেয়ারে তাঁর ৩০ লাখ ইউয়ান বিনিয়োগ আছে। বিনিয়োগ করার মতো আরো ৭০ লাখ ইউয়ান তাঁর হাতে আছে।
রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী শু হাও বলেন, তিনিও প্রযুক্তি ও ভোক্তা খাতের শেয়ারে কয়েক মিলিয়ন ইউয়ান বিনিয়োগ করেছেন। বাণিজ্যযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিকারকদের সহায়তায় দেশীয় খুচরা জায়ান্টদের নানা উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসা তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে।
চীনা রপ্তানিকারকদের জন্য নানা সহায়তা ঘোষণা করেছে জেডি.কম, আলিবাবার মালিকানাধীন ফ্রেশিপ্পো, সুপার মার্কেট চেইন সিআর ভ্যানগার্ড ও ইয়ংহুই সুপারস্টোরস। শু বলেন, মানুষ এখন নানা উপায়ে দেশপ্রেম প্রকাশ করছে।
বিনিয়োগের ক্ষেত্র নির্বাচনেও ফুটে উঠেছে এই দেশপ্রেম। যেসব খাতে বেইজিংয়ের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার লক্ষ্য আছে এবং শুল্কের কারণে যেসব খাতের চীনা কোম্পানি বিশ্ববাজার থেকে ছিটকে পড়ছে, সেসব খাতেই মানুষ অর্থ ঢালছে। ভোক্তা ও চিপসংশ্লিষ্ট শেয়ারগুলোর দাম বেড়েছে। পর্যটন ও কৃষিভিত্তিক শেয়ারগুলোও দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

চীনে দ্রুত জনপ্রিয় হতে থাকা এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডেও (ইটিএফ) অর্থ ঢুকছে। ৭ এপ্রিলের ধসের পর থেকে চীনা ইটিএফে ২৩০ বিলিয়ন ইউয়ানের বেশি বিনিয়োগ এসেছে। এর ফলে এই খাতের আকার প্রথমবারের মতো ৪ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে গেছে।
বারুদের গন্ধ নেই, তবু চলছে যুদ্ধ
পেশাদার বিনিয়োগকারীরাও দেশপ্রেমের টানে নতুন করে নিজেদের বিনিয়োগ পোর্টফোলিও সাজাচ্ছেন। হেজ ফান্ড ম্যানেজার ইয়াং টিংউ বলেন, তিনি নিজের পোর্টফোলিওতে বসে থাকা সব অর্থ শেয়ারবাজারে ঢেলে দিয়েছেন। কৃষি, শক্তি, আর্থিক ও প্রতিরক্ষা খাতে তিনি বিনিয়োগ করেছেন।
টংহেং ইনভেস্টমেন্টের পোর্টফোলিও ম্যানেজার ইয়াং বলেন, ‘এটা যুদ্ধ, শুধু বারুদের গন্ধ নেই। এটা শুধু আপনার পোর্টফোলিও নয়, আপনার দেশের ভবিষ্যতের ওপরও বাজি ধরা।’
শাংহাইভিত্তিক মাইনরিটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা লিয়াম ঝৌ জানান, তিনি এক বিলিয়ন ডলারের পুরো পোর্টফোলিও চীনা শেয়ারে বিনিয়োগ করেছেন।
এই বাণিজ্যযুদ্ধ জিয়াংসু প্রদেশের শিক্ষিকা ন্যান্সি লুর মতো, অনেক চীনা বিনিয়োগকারীকে আবার ‘উগ্র দেশপ্রেমিক’ করে তুলেছে। ন্যান্সি বলেন, ‘আমার পোর্টফোলিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, কিন্তু আমি পরোয়া করি না। যুক্তরাষ্ট্রের দমননীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমি সরকারের পাশে থাকব।’
তিনি বলেন, ‘আমি একটি শেয়ারও বিক্রি করব না। আমি আমার দেশের বাজার রক্ষা করব। একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী হিসেবে কখনো এত গর্ব অনুভব করিনি।’ মার্কিন ব্র্যান্ড বয়কটের অংশ হিসেবে আর কখনো কফির জন্য স্টারবাকে যাবেন না বা নাইকি পরবেন না বলে ন্যান্সি লু প্রতিজ্ঞা করেন।
(১ ডলার = ৭.২৯১৭ ইউয়ান)

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ এক নতুন জাতীয় চেতনার জন্ম দিয়েছে। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের জবাবে দেশপ্রেমিক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দেশের অর্থনীতি রক্ষায়। যুদ্ধ শব্দটি এখানে বারুদের বদলে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বিনিয়োগ আর আত্মনির্ভরতার মন্ত্রে।
২২ এপ্রিল ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ এক নতুন জাতীয় চেতনার জন্ম দিয়েছে। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের জবাবে দেশপ্রেমিক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দেশের অর্থনীতি রক্ষায়। যুদ্ধ শব্দটি এখানে বারুদের বদলে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বিনিয়োগ আর আত্মনির্ভরতার মন্ত্রে।
২২ এপ্রিল ২০২৫
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৩ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ এক নতুন জাতীয় চেতনার জন্ম দিয়েছে। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের জবাবে দেশপ্রেমিক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দেশের অর্থনীতি রক্ষায়। যুদ্ধ শব্দটি এখানে বারুদের বদলে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বিনিয়োগ আর আত্মনির্ভরতার মন্ত্রে।
২২ এপ্রিল ২০২৫
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ এক নতুন জাতীয় চেতনার জন্ম দিয়েছে। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের জবাবে দেশপ্রেমিক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দেশের অর্থনীতি রক্ষায়। যুদ্ধ শব্দটি এখানে বারুদের বদলে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বিনিয়োগ আর আত্মনির্ভরতার মন্ত্রে।
২২ এপ্রিল ২০২৫
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে