অনলাইন ডেস্ক
গাজায় ইসরায়েলি নৃশংস হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়া। গাজা-সংকট শুরুর পর এই প্রথম কোনো দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিল। এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলোও তেল আবিবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের দেশে ডেকে পাঠিয়েছে চলমান পরিস্থিতির বিষয়ে সলাপরামর্শ করতে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বলিভিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রেডি মামানি গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বলিভিয়া গাজা উপত্যকায় সংঘটিত আক্রমণাত্মক ও অগ্রহণযোগ্য ইসরায়েলি সামরিক আক্রমণ নিন্দাভরে প্রত্যাখ্যান করছে এবং ইসরায়েলি রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রশাসনবিষয়ক মন্ত্রী মারিয়া নেলা প্রাদা ঘোষণা দিয়েছেন, দেশটি গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠাবে। ওই একই সংবাদ সম্মেলনে নেলা প্রাদা বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় যে হামলা চলছে, তা এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষের প্রাণহানি, হাজারো মানুষের বাস্তুচ্যুতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা গাজায় এ ধরনের আক্রমণের অবসান চাই।’
এদিকে, বলিভিয়ার প্রতিবেশী কলম্বিয়া ও চিলি তেল আবিবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে দেশে ডেকে পাঠিয়েছে। দূতদের সঙ্গে দেশগুলো গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েল হামলার নিন্দা ও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর বিষয়ে সলাপরামর্শ করবে। ঐতিহাসিকভাবেই লাতিন আমেরিকার বামঘেঁষা দেশগুলো ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তবে অঞ্চলের ডানপন্থী দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ছায়াতলে ইসরায়েলঘেঁষা নীতি অবলম্বন করে।
চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বরিস এক টুইটে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের চরম লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেন। ওই টুইটেই তিনি তেল আবিবে নিযুক্ত চিলির রাষ্ট্রদূত জর্জ কারভাহালকে ডেকে পাঠানোর বিষয়টি জানান। আরব বিশ্বের বাইরে যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি ফিলিস্তিনি রয়েছে, তাদের মধ্যে চিলি উল্লেখযোগ্য। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টও অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে।
লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশ যেমন—মেক্সিকো ও ব্রাজিল এরই মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।