কনস্যুলার পরিষেবা ও দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট পুনরায় চালু করার পদক্ষেপসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতির লক্ষ্যে সৌদি আরব ও সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে।
গতকাল বুধবার সৌদি আরবে তাঁদের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি আরবের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বিন আব্দুল্লাহ ও সিরিয়ার পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মেকদাদ বৈঠক করেন। রয়টার্সের প্রতিবেদন।
বৈঠকে মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং সিরিয়াকে আরব ছায়াতলে ফিরে আসার সুবিধার্থে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে সৌদি আরব।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মেকদাদ বুধবার সৌদির জেদ্দায় আসেন, যা এক দশকেরও বেশি সময়ে সিরিয়ার একজন সিনিয়র কূটনীতিকের সৌদিতে প্রথম সফর। এই সফর সিরিয়ার আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতা অবসানের বার্তা দিচ্ছে।
এর আগে ২০১১ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ওপর নৃশংস দমন-পীড়নের জন্য দামেস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি। এ ছাড়া আসাদকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের জন্য লড়াইকারী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থনও দিয়েছিল সৌদি আরব। ওই ঘটনায় সিরিয়াকে আরব লিগ থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে আরব লিগের নিষেধাজ্ঞার পর আসাদ তাঁর প্রধান মিত্র ইরান ও রাশিয়ার সাহায্যে সিরিয়ার অনেক অংশের ওপর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে।
সৌদি-সিরীয় সম্পর্ক উন্নতির জন্য আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পদক্ষেপ নিয়েছিল। সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিসর ও জর্ডানের শীর্ষ কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর সৌদিতে আসেন।
গতকাল বুধবার সফরের শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে উভয় পক্ষই সিরিয়া রাষ্ট্রকে তার সমস্ত অঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
বৈঠকে সিরিয়ার সংকট রাজনৈতিকভাবে নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সিরিয়ার আরব পরিবেশে ফিরে আসা এবং মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর কথাও বলেছে সৌদি আরব।
রয়টার্সের একটি সূত্র বলেছে, আগামী ১৯ মে আরব লিগের শীর্ষ সম্মেলন, যেটা অনুষ্ঠিত হবে সৌদি আরবে। আসাদকে সেই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব। এই পদক্ষেপ আনুষ্ঠানিকভাবে সিরিয়ার আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতার অবসান ঘটাবে। যদিও বিষয়টিতে আরব ঐকমত্য আছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।