সংযুক্ত আরব আমিরাতের ধূমপান একটি সাধারণ অভ্যাস। বাজারে ই-সিগারেট এবং ভ্যাপ সহজলভ্য হওয়ার সঙ্গে ধূমপানের বিকল্প উপায় এখন হাতের নাগালে। দেশটিতে তামাকজাত পণ্য ক্রয় এবং ভোগের দিন দিন মাত্রা ছাড়াচ্ছে।
এ অবস্থায় ধূমপানের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছে উপসাগরীয় দেশটি। নতুন আইন অনুযায়ী, দেশটিতে কোনো ১২ বছরের কম বয়সী কোনো শিশুর সামনে ধূমপান করলে পাঁচ হাজার দিনার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় দেড় লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
একই সঙ্গে অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে নিকোটিন বা তামাকজাতীয় পণ্য বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ আইন অমান্য করে কেউ শিশু বা অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে নিকোটিন বা তামাকজাতীয় পণ্য বিক্রি করলে বা দিলে তাঁকে ১৫ হাজার দিরহাম জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার কাছাকাছি। শিশুদের কাছে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় বিক্রি করাও বেআইনি এবং একই শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। জরিমানা না দিলে তিন মাসের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
আরব-আমিরাতের সংবাদ মাধ্যম খালিজ টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ধূমপায়ীদের আশেপাশে থাকা অধূমপায়ীরা একই স্বাস্থ্যগত ক্ষতির শিকার হন। বিশেষ করে আবদ্ধ এলাকায় শিশুদের ক্ষেত্রে আরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তামাক প্রতি বছর ৮০ লাখের বেশি মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। যাদের মধ্যে আনুমানিক ১৩ লাখ মানুষ অধূমপায়ী কিন্তু পরোক্ষ ধূমপানের শিকার।
তাই সংযুক্ত আরব আমিরাত শিশুদের আশেপাশে ধূমপান বন্ধ ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের তামাকজাত পণ্য প্রাপ্তি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
দেশটির ওয়াদিমা আইন বা শিশুদের অধিকার আইন অনুযায়ী, শিশুর উপস্থিতিতে ধূমপান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আইনটির ২১ ধারা অনুসারে, ১২ বছরের কম বয়সী শিশুর সামনে সরকারি গণপরিবহন বা ব্যক্তিগত গাড়িতে ধূমপান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
আবদ্ধ জায়গা বা ঘরের মধ্যে শিশুদের সামনে ধূমপানের ক্ষেত্রেও এই আইন প্রযোজ্য। আইন লঙ্ঘনকারীদের কমপক্ষে পাঁচ হাজার দিনার জরিমানা করা হবে।