অনলাইন ডেস্ক
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজায় শিশুদের পোলিও রুখতে ১০ লাখের বেশি ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানম ঘেব্রেইসাস গতকাল শুক্রবার জানিয়েছেন, গাজার পানিতে পোলিও ভাইরাসের নমুনা পাওয়ার পরপরই এই ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর বরাত দিয়ে সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহগুলোতে গাজার শিশুদের মধ্যে এই ভ্যাকসিন বিতরণ করা হবে, যাতে অঞ্চলটির শিশুরা পোলিওতে আক্রান্ত না হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে লিখিত এক মতামত কলামে তেদরোস আধানম ঘেব্রেইসাস লিখেছেন, ‘যদিও পোলিওর কোনো ঘটনা এখনো রেকর্ড করা হয়নি, তবে এখনই তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ না নেওয়া হলে (গাজার) বর্তমান অরক্ষিত পরিস্থিতিতে থাকা হাজার হাজার শিশুর আক্রান্ত হওয়া এখন কেবল সময়ের ব্যাপার।’
তেদরোস আধানম ঘেব্রেইসাস গার্ডিয়ানে লিখিত কলামে উল্লেখ করেছেন, গাজার পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায় এমন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। তবে দুই বছর বয়সী শিশুরা আরও বেশি ঝুঁকিতে। কারণ তাদের জন্মের পরপরই যেসব প্রয়োজনীয় টিকা পাওয়ার কথা, তার অধিকাংশই পাওয়া হয়নি গাজায় ৯ মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে।
সাধারণত পোলিওমাইলাইটিস রোগটি মুখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। এটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাস, যা স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করতে পারে এবং এর কারণে মানুষের প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাত ঘটতে পারে। ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী পোলিওর ঘটনা ৯৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে গণটিকা অভিযানের কারণে।