ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরে শাতি শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়ার পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার বরাতে খবরটি দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
হানিয়া পরিবারের যে ১০ জন মারা গেছেন, তাঁরা হলেন জহর আবদেল সালাম হানিয়া, নাহেদ হানিয়া আবু গাজি, ইমান হানিয়া উম গাজি, ইসমাইল নাহেদ হানিয়া, মুহাম্মদ নাহেদ হানিয়া, মোয়ামেন নাহেদ হানিয়া, জাহরা নাহেদ হানিয়া, আমাল নাহেদ হানিয়া, শাহাদ নাহেদ হানিয়া ও সুমায়া নাহেদ হানিয়া।
হানিয়া পরিবারের ওপর হামলা এবং নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে হামাস আজ মঙ্গলবার গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী যুদ্ধ অব্যাহত রাখার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে দায়ী করেছে। বলা হয়েছে, ইসরায়েল যেন গাজায় ধ্বংস ও হত্যাযজ্ঞের কাজটা সম্পন্ন করতে পারে সে জন্য নেতানিয়াহু সরকারকে রাজনৈতিক ও সামরিক সুরক্ষা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
হামাস এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘকে এই চলমান ভয়ংকর অপরাধের বিরুদ্ধে এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সে সঙ্গে, দখলদার সন্ত্রাসী নেতাদের তাদের অপরাধের জন্য জবাবদিহি করারও আহ্বান জানিয়েছে হামাস।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, আজ সকালে হামলাটি হয়েছিল শাতিতে হানিয়া পরিবারের বাড়ি লক্ষ্য করে। তিনি বলেন, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোপ্রধান ইসমাইল হানিয়ার বোন জাহর হানিয়াসহ ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১০ জন শহীদ হয়েছেন। সম্ভবত ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক লাশ রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে সেসব সরানোর জন্য তাঁদের কাছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মীরা মৃতদেহগুলো নিকটবর্তী গাজার আল-আহলি হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে বলেও জানান বাসাল। এ হামলায় বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাস যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ, যা এখনো চলছে। আইডিএফের গত আট মাসের অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছে প্রায় ৩৭ হাজার ৬৫৮ জন ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া, আহতের সংখ্যা প্রায় ৮৬ হাজার ২৩৭। নিহতদের শতকরা ৫৬ ভাগ নারী ও শিশু।