গত বছরের ৭ অক্টোবর সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। সেই হামলার প্রতিক্রিয়ায় সেদিন থেকেই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর একে একে আরও তিনটি দেশের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে দেশটি। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে ইসরায়েল কোন দেশে কত হামলা চালিয়েছে এবং তাতে প্রাণহানির বিষয়টি ওঠে এসেছে।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ৩০০ তম দিন আজ। এই সময়ের মধ্যে গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ মানুষ। সর্বশেষ, ইরানের রাজধানী তেহরানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া। হামাস ও ইরান এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। তবে ইসরায়েল এখনো এই বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি।
তার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে, লেবাননের রাজধানী বৈরুতের উপকণ্ঠে ইসরায়েলি হামলায় দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ফুয়াদ শুক্রি ২ জন নিহত ও ৭৪ জন আহত হয়। ফিলিস্তিনি অঞ্চল, লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ইসরায়েল বিগত ৩০০ দিনে অন্তত ১৭ হাজার বার হামলা চালিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সহিংসতা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট প্রজেক্টের (এসিএলইডি) হিসাব বলছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল, লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরানে গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর অন্তত ১৭ হাজার ৮১টি বিমান/ড্রোন হামলা, গোলাবর্ষণ/ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, দূর নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ এবং অন্যান্য ধরনের হামরা চালিয়েছে।
এসব হামলার মধ্যে ৬০ শতাংশেরও বেশি চালানো হয়েছে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের গাজায়। যেখানে অন্তত ১০ হাজার ৩৮৯ বার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এর বাইরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হামলা চালানো হয়েছে লেবাননে। দেশটিতে ইসরায়েল অন্তত ৬ হাজার ৫৪৪ বার হামলা চালিয়েছে। যা মোট হামলার ৩৮ শতাংশ। এর বাইরে সিরিয়ায় ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে ১৪৪ বার, ইয়েমেন ও ইরানে ২ বার করে হামলা চালিয়েছে।
গাজাও পশ্চিম তীরে চালানো ১০ হাজারের বেশি হামলায় অন্তত ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় মারা গেছে ৫৯০ জন, সিরিয়ায় মারা গেছে ২৬০ জন, ইয়েমেনে মারা গেছে ৬ জন এবং ইরানে মারা গেছে ১ জন।