হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

গাজা থেকে পাঠানো নারীর মরদেহটি শিরি বিবাসের নয়, দাবি ইসরায়েলের

শিরি বিবাস। ছবি: বিবিসি

হামাসের হামলায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল থেকে অপহৃত হয়েছিলেন শিরি বিবাস ও তাঁর দুই সন্তান। গতকাল বৃহস্পতিবার শিরি ও তাঁর সন্তানদের সহ মোট চারটি মরদেহ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—২০২৩ সালের নভেম্বরে গাজায় ইসরায়েলের বোমা হামলায় তারা নিহত হয়েছে। তবে মরদেহ পাওয়ার পর ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ফেরত পাঠানো দেহগুলোর মধ্যে শিরি বিবাস নেই।

শুক্রবার বিবিসি জানিয়েছে, ৩৩ বছর বয়সী শিরি বিবাসের দুই সন্তানের মধ্যে অ্যারিয়েল বিবাসের বয়স ছিল পাঁচ এবং কেফি বিবাসের বয়স ছিল মাত্র দুই বছর। তাদের মৃত্যুর খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর ইসরায়েলে শোকের ছায়া নেমে আসে।

মরদেহ বুঝে নেওয়ার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বিবাস পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছে, হামাসের হস্তান্তর করা মৃতদেহগুলোর মধ্যে তাদের দুই সন্তানের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তৃতীয় দেহটি নিশ্চিতভাবেই তাদের মা শিরি বিবাসের নয়।

এ অবস্থায় হামাসের কাছে শিরি বিবাসের দেহ ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অবশিষ্ট সব বন্দীর মুক্তির দাবি জানিয়েছে ইসরায়েল। তবে হামাসের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে এক্স মাধ্যমের এক পোস্টে আইডিএফ বলেছে, ‘পরিচয় শনাক্তকরণের প্রক্রিয়ায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত যে দেহটি ফেরত দেওয়া হয়েছে, তা শিরি বিবাসের নয় এবং কোনো বন্দীর সঙ্গেও এটি মেলেনি। এটি একটি অজ্ঞাত পরিচয়ের দেহ।’

হামাসকে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে আইডিএফ আরও বলেছে, ‘হামাস চারজন মৃত বন্দীর দেহ ফেরত দেওয়ার চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে। আমরা দাবি জানাই, শিরিকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হোক এবং আমাদের সব বন্দীকে মুক্ত করা হোক।’

আইডিএফের মতে, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে জিম্মি থাকা অবস্থায় শিরি বিবাসের দুই সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।

অপহৃত হওয়ার সময় শিরি বিবাসের বয়স ছিল ৩২ বছর। সেই সময়টিতে তাঁর ছেলে অ্যারিয়েলের বয়স ছিল চার, আর কেফির বয়স ছিল মাত্র ৯ মাস। অপহৃত হয়েছিলেন শিশুদের বাবা ৩৪ বছরের ইয়ারডেন বিবাসও। তবে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ইয়ারডেন মুক্তি দেয় হামাস।

এদিকে বৃহস্পতিবার ফেরত পাঠানো মরদেহগুলোর মধ্যে চতুর্থ দেহটি ইসরায়েলি শান্তিকর্মী ওদেদ লিফশিৎজের বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল।

গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির চুক্তির আওতায় বন্দীদের দেহ হস্তান্তরের ব্যাপারে সম্মতি হয়েছিল। ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা আশা করছে মোট ৮টি মরদেহ হস্তান্তর করবে হামাস।

উল্লেখ্য, চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় প্রথম ছয় সপ্তাহে ৩৩ জন বন্দীর বিনিময়ে প্রায় ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। পরবর্তীতে বন্দীদের মুক্তির মাধ্যমে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, তা এখনো শুরু হয়নি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় এখনো ৬৬ জন বন্দী আটকে রয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া আরও তিনজন জিম্মি আছেন, যারা প্রায় এক দশক আগেই অপহৃত হয়েছিলেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে প্রবেশ করে হামাস হামলা চালালে প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়। সেই হামলায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এই ঘটনার পর থেকেই ইসরায়েলি বাহিনী গাজার ওপর ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৮ হাজার ২৯৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশির ভাগই সাধারণ ফিলিস্তিনি।

আরব আমিরাতে মোবাইল, চুলের কাটিং ও অভিভাবকের পোশাক নিয়ে নতুন নির্দেশনা

ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত, গাজায় পানীয় জলের তীব্র সংকট

ইসরায়েলের সঙ্গে ট্রাম্পের বন্ধুত্ব দোধারি তলোয়ার

গাজায় ইসরায়েলের তীব্র হামলা চলছেই, নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি

অস্ত্রসমর্পণ নিয়ে এবার আলোচনায় রাজি হিজবুল্লাহ

অন্তহীন মৃত্যুচক্রে আটকে পড়েছে গাজার মানুষ: জাতিসংঘ মহাসচিব

ওমরাহ পালন: ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সৌদি ছাড়তে হবে

ট্রাম্পের চাপে অস্ত্র ছাড়তে রাজি ইরাকে ইরান-সমর্থিত ১০ সশস্ত্র গোষ্ঠী

গাজায় সাংবাদিকতা: ১০০ বছরে সব যুদ্ধেও এত গণমাধ্যমকর্মীর প্রাণ যায়নি

গাজাবাসীকে অন্য দেশে পাঠাতে ট্রাম্প–নেতানিয়াহু বৈঠক