Ajker Patrika

ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত, গাজায় পানীয় জলের তীব্র সংকট

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১০: ৫৫
গাজার শুজাইয়া এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা। ছবি: আনাদোলু
গাজার শুজাইয়া এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা। ছবি: আনাদোলু

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফের হামলায় নিহত হয়েছে আরও ২৯ ফিলিস্তিনি। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছে আরও অনেকে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

আজ শুক্রবারও ইসরায়েলি বর্বরতায় উপত্যকাজুড়ে প্রাণহানি ঘটছে। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একই পরিবারের আটজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শেখ নাসের এলাকায় চালানো বোমা হামলায় নিহত হয়েছে তারা। অঞ্চলটির কাতবিয়া এলাকায় বোমাবর্ষণে আরও ছয়জনের প্রাণহানি হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন আলজাজিরার গাজা প্রতিনিধি। নিহতদের মধ্যে তিনটিই শিশু এবং দুজন নারী।

যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এক মাসেরও কম সময়ের এই অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছেন দেড় হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছে প্রায় ৪ হাজার বেসামরিক নাগরিক।

নতুন করে হামলা শুরুর পর থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন। কোনো ধরনের ত্রাণসহায়তা গাজায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। নেতানিয়াহুর ভাষ্য, বর্তমানে গাজায় খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তার কোনো অভাব নেই। তাই নতুন করে কোনো ত্রাণ প্রবেশ অপ্রয়োজনীয়।

গত ১ মার্চ যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার পরপরই উপত্যকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। কয়েক দিন ধরে বন্ধ পানি সরবরাহও। আলজাজিরার তথ্যমতে, গাজা উপত্যকার পানি সরবরাহের ৭০ শতাংশই বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে পরিচ্ছন্নতা তো দূরের কথা, খাওয়ার পানি নিয়েই তৈরি হয়েছে সংকট। শিগগিরই পানি সরবরাহ চালু না করলে গাজার মানুষকে তৃষ্ণায় মারা যেতে হবে বলে সতর্ক করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত