‘প্রসেসেস’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাতের মাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি হজমযোগ্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি ওজন কমাতে পারে।
সুবিধা
ভাতের মাড় শর্করামুক্ত পানীয়। তবে এর ক্যালরির পরিমাণ নির্ভর করে কোন ধরনের চাল ব্যবহার করা হয়েছে এবং কতক্ষণ চাল সেদ্ধ করা হয়েছে, তার ওপর।
বানাবেন যেভাবে
প্রথমে সেদ্ধ করার জন্য একটি পাত্রে তিন টেবিল চামচ সাদা চাল এবং দুই কাপ পানি নিন। এই অনুপাতের ওপর ভিত্তি করে পরিমাণ বাড়াতে পারেন। মিশ্রণটি ২০-৩০ মিনিটের জন্য গ্যাসে রান্না করুন। এরপর পানি ছেঁকে ঠান্ডা করে নিন। ভাতের এই মাড় এক সপ্তাহের জন্য ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যেতে পারে, তার বেশি কোনোভাবেই নয়। এটি হজম ভালো হতে সাহায্য করে। ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন মাইক্রোবায়োলজি’তে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ভাতের মাড়ে উপস্থিত স্টার্চ হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। স্টার্চ চর্বি জমা কমাতে এবং চর্বি বিপাকে সহায়তা করে। এটি ওজন কমানোর পাশাপাশি আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
যখন খাবেন
দিনের যেকোনো সময় ভাতের মাড় পান করা যেতে পারে। এক গ্লাস ভাতের মাড় দুপুর ও রাতের খাবারের ৩০ থেকে ৪০ মিনিট আগে পান করার উত্তম সময়। এ সময় পান করলে পেট ভরা থাকে এবং ক্যালরি গ্রহণ কমে যায়।