অনলাইন ডেস্ক
ঈদের দিন অতিথি আপ্যায়নে প্রতি বেলায় টেবিলে বিশেষ কিছু খাবার রাখার চেষ্টা করি সবাই। যাঁরা ভাবনায় আছেন এ নিয়ে, তাঁদের জন্য তিনটি স্পেশাল রেসিপি। সকালের নাশতায়, দুপুরের খাবারে ও সন্ধ্যার আয়োজনে যুক্ত করতে পারেন এই মজার খাবারগুলো। দারুণ এই তিন পদের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন টেলস অব ডেজার্টের স্বত্বাধিকারী উম্মে রিসালাত।
ব্রেড মালাই রোল
সকালের আপ্যায়নে রাখতে পারেন ব্রেড মালাই রোল। একটুখানি মিষ্টি খেয়ে ঈদের নামাজে যাওয়ার যে রেওয়াজ, সেখানে সেমাই-পায়েসের সঙ্গী হিসেবে মন্দ হবে না!
মালাইয়ের জন্য উপকরণ: ২০ পিস পাউরুটি (মিল্ক ব্রেড), ১ লিটার দুধ, ১/২ কৌটো কনডেন্সড মিল্ক, ১/৩ কাপ গুঁড়া দুধ, ১/৪ চা-চামচ এলাচিগুঁড়া, বাদাম, কিশমিশ (সাজানোর জন্য)
প্রণালি
পাউরুটির চারপাশের শক্ত অংশটুকু কেটে ফেলে পাউরুটিগুলো একটা একটা করে হালকা বেলে নিতে হবে। তারপর একটা পাতিলে তরল দুধ, গুঁড়া দুধ, কনডেন্সড মিল্ক আর এলাচিগুঁড়ো দিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিতে হবে। দুধ ঘন হয়ে অর্ধেকে নেমে আসলে নামিয়ে ফেলতে হবে।
পুরের জন্য উপকরণ: ১/২ কাপ তরল দুধ, ১ কাপ গুঁড়া দুধ, ১/২ কৌটো কনডেন্সড মিল্ক, ৩ টেবিল চামচ ঘি, ৩টি এলাচি, ২ টুকরো দারুচিনি।
প্রণালি
একটা ফ্রাই প্যানে ঘি, এলাচি ও দারুচিনি দিতে হবে। তরল দুধ, কনডেন্সড মিল্ক ও গুঁড়া দুধ দিয়ে ভালো করে জ্বাল দিতে হবে। মাঝারি আঁচে ১০-১৫ মিনিট ধরে বারবার নেড়ে ঘন করতে হবে। পানি শুকিয়ে আঠালো হয়ে এলে নামাতে হবে। তৈরি মালাই রোলের পুর।
প্রস্তুত প্রণালি
বেলে রাখা পাউরুটির এক পাশে লম্বা করে পুর দিতে হবে, এরপর রোলের মতো করে মুড়িয়ে পাউরুটির আরেক পাশে সামান্য দুধ লাগিয়ে পাউরুটির মুখ বন্ধ করে দিতে হবে। এভাবে সব কটি তৈরি করতে হবে।
তারপর রোলগুলো তৈরি হয়ে গেলে একটি ডিশে পরিবেশনের জন্য সব রোল সাজিয়ে নিতে হবে। সাবধানে রোলগুলোর ওপরে জ্বাল দেওয়া দুধ ঢেলে দিতে হবে। পাউরুটির ওপর কিশমিশ ও বাদাম দিয়ে সাজিয়ে ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন দারুণ মজাদার ব্রেড মালাই রোল।
মুতাঞ্জন জর্দা
দুপুরে প্রায় প্রতি বাড়িতেই থাকে পোলাও, কোর্মা, বিরিয়ানি, রেজালা, রোস্টের মতো ভারী খাবারের আয়োজন। আর শেষ পাতে একটুখানি জর্দা নিয়ে আসে পূর্ণ তৃপ্তি।
উপকরণ
২ কাপ পোলাও চাল, ২ কাপ চিনি, আধা কাপ ঘি, আধা চা-চামচ এলাচিগুঁড়া, আধা কাপ কমলার রস, আধা কাপ মাওয়া বা গুঁড়া দুধ, ৩-৪টি এলাচি ও দারুচিনি, ১ কাপ ড্রাই ফ্রুট (বাদাম, কিশমিশ, মোরব্বা), ১ কাপ বেবি সুইট, আধা চা-চামচ করে ফুড কালার (লাল, কমলা ও সবুজ)।
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এবার একটি পাত্রে ৬ কাপ পানি ও ২ টেবিল চামচ তেল নিয়ে ফোটান। চাল দিয়ে দিন। ৮০ শতাংশ সেদ্ধ হলে অর্থাৎ একটু শক্ত থাকতেই নামিয়ে ঝরিয়ে রাখুন। এখন প্যানে ঘি দিয়ে এলাচি ও দারুচিনি দিয়ে নাড়ুন। চিনি ও আধা কাপ পানি, এলাচিগুঁড়া ও কমলার রস দিয়ে দিন। চিনি গলে পানি একটু শুকিয়ে এলে সেদ্ধ করা চাল ও গুঁড়া দুধ বা মাওয়া দিয়ে দিন। একটু নেড়েচেড়ে ফুড কালারগুলো দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন।
একটু পর ড্রাই ফ্রুট ও মিষ্টি দিয়ে হালকা নেড়ে দমে রাখুন। ভাত সেদ্ধ হয়ে জর্দা হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। পরিবেশন করুন মজাদার মুতাঞ্জন জর্দা।
লাচ্ছা সেমাইয়ের লাড্ডু
ঈদের সন্ধ্যায় অতিথিদের আপ্যায়ন করতে সেমাই, পায়েস, নুডলস, চটপটির পাশাপাশি রাখতে পারেন লাচ্ছা সেমাইয়ের লাড্ডু।
উপকরণ
১ প্যাকেট লাচ্ছা সেমাই, ১ কাপ বাদামকুচি, ৮-১০ টি কিশমিশ, ৩-৪টি এলাচি, ২ টুকরো দারুচিনি, ১ কাপ দুধ, ড্রাই কোকোনাট (পরিমাণমতো), ২-৩ চা-চামচ গুঁড়া দুধ, ৪-৫ চা চামচ কনডেন্সড মিল্ক, ৩ চা-চামচ ঘি ও স্বাদমতো চিনি।
প্রণালি
প্রথমে চুলায় একটি পাত্রে ঘি ঢেলে তাতে এলাচি ও দারুচিনি অল্প ভেজে নিতে হবে। ভাজা হলে সেমাই দিয়ে নাড়তে হবে। সেমাইয়ের রং অল্প পরিবর্তন হয়ে বাদামি হতে থাকলে বাদাম, কিশমিশ, ড্রাই কোকোনাট ও চিনি দিয়ে আবার নাড়াচাড়া করতে হবে।
চিনির পানি শুকিয়ে এলে এতে তরল দুধ দিয়ে সেদ্ধ করে কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে। এর মধ্যে গুঁড়া দুধ দিয়ে দিন। একটু ঘি দিলে স্বাদ আরও বেড়ে যায়। যখন শুকিয়ে আসবে, তখন নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে নিতে হবে। তারপর হাতে ঘি মেখে গোল গোল করে লাড্ডু তৈরি করে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
ঈদের দিন অতিথি আপ্যায়নে প্রতি বেলায় টেবিলে বিশেষ কিছু খাবার রাখার চেষ্টা করি সবাই। যাঁরা ভাবনায় আছেন এ নিয়ে, তাঁদের জন্য তিনটি স্পেশাল রেসিপি। সকালের নাশতায়, দুপুরের খাবারে ও সন্ধ্যার আয়োজনে যুক্ত করতে পারেন এই মজার খাবারগুলো। দারুণ এই তিন পদের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন টেলস অব ডেজার্টের স্বত্বাধিকারী উম্মে রিসালাত।
ব্রেড মালাই রোল
সকালের আপ্যায়নে রাখতে পারেন ব্রেড মালাই রোল। একটুখানি মিষ্টি খেয়ে ঈদের নামাজে যাওয়ার যে রেওয়াজ, সেখানে সেমাই-পায়েসের সঙ্গী হিসেবে মন্দ হবে না!
মালাইয়ের জন্য উপকরণ: ২০ পিস পাউরুটি (মিল্ক ব্রেড), ১ লিটার দুধ, ১/২ কৌটো কনডেন্সড মিল্ক, ১/৩ কাপ গুঁড়া দুধ, ১/৪ চা-চামচ এলাচিগুঁড়া, বাদাম, কিশমিশ (সাজানোর জন্য)
প্রণালি
পাউরুটির চারপাশের শক্ত অংশটুকু কেটে ফেলে পাউরুটিগুলো একটা একটা করে হালকা বেলে নিতে হবে। তারপর একটা পাতিলে তরল দুধ, গুঁড়া দুধ, কনডেন্সড মিল্ক আর এলাচিগুঁড়ো দিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিতে হবে। দুধ ঘন হয়ে অর্ধেকে নেমে আসলে নামিয়ে ফেলতে হবে।
পুরের জন্য উপকরণ: ১/২ কাপ তরল দুধ, ১ কাপ গুঁড়া দুধ, ১/২ কৌটো কনডেন্সড মিল্ক, ৩ টেবিল চামচ ঘি, ৩টি এলাচি, ২ টুকরো দারুচিনি।
প্রণালি
একটা ফ্রাই প্যানে ঘি, এলাচি ও দারুচিনি দিতে হবে। তরল দুধ, কনডেন্সড মিল্ক ও গুঁড়া দুধ দিয়ে ভালো করে জ্বাল দিতে হবে। মাঝারি আঁচে ১০-১৫ মিনিট ধরে বারবার নেড়ে ঘন করতে হবে। পানি শুকিয়ে আঠালো হয়ে এলে নামাতে হবে। তৈরি মালাই রোলের পুর।
প্রস্তুত প্রণালি
বেলে রাখা পাউরুটির এক পাশে লম্বা করে পুর দিতে হবে, এরপর রোলের মতো করে মুড়িয়ে পাউরুটির আরেক পাশে সামান্য দুধ লাগিয়ে পাউরুটির মুখ বন্ধ করে দিতে হবে। এভাবে সব কটি তৈরি করতে হবে।
তারপর রোলগুলো তৈরি হয়ে গেলে একটি ডিশে পরিবেশনের জন্য সব রোল সাজিয়ে নিতে হবে। সাবধানে রোলগুলোর ওপরে জ্বাল দেওয়া দুধ ঢেলে দিতে হবে। পাউরুটির ওপর কিশমিশ ও বাদাম দিয়ে সাজিয়ে ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন দারুণ মজাদার ব্রেড মালাই রোল।
মুতাঞ্জন জর্দা
দুপুরে প্রায় প্রতি বাড়িতেই থাকে পোলাও, কোর্মা, বিরিয়ানি, রেজালা, রোস্টের মতো ভারী খাবারের আয়োজন। আর শেষ পাতে একটুখানি জর্দা নিয়ে আসে পূর্ণ তৃপ্তি।
উপকরণ
২ কাপ পোলাও চাল, ২ কাপ চিনি, আধা কাপ ঘি, আধা চা-চামচ এলাচিগুঁড়া, আধা কাপ কমলার রস, আধা কাপ মাওয়া বা গুঁড়া দুধ, ৩-৪টি এলাচি ও দারুচিনি, ১ কাপ ড্রাই ফ্রুট (বাদাম, কিশমিশ, মোরব্বা), ১ কাপ বেবি সুইট, আধা চা-চামচ করে ফুড কালার (লাল, কমলা ও সবুজ)।
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এবার একটি পাত্রে ৬ কাপ পানি ও ২ টেবিল চামচ তেল নিয়ে ফোটান। চাল দিয়ে দিন। ৮০ শতাংশ সেদ্ধ হলে অর্থাৎ একটু শক্ত থাকতেই নামিয়ে ঝরিয়ে রাখুন। এখন প্যানে ঘি দিয়ে এলাচি ও দারুচিনি দিয়ে নাড়ুন। চিনি ও আধা কাপ পানি, এলাচিগুঁড়া ও কমলার রস দিয়ে দিন। চিনি গলে পানি একটু শুকিয়ে এলে সেদ্ধ করা চাল ও গুঁড়া দুধ বা মাওয়া দিয়ে দিন। একটু নেড়েচেড়ে ফুড কালারগুলো দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন।
একটু পর ড্রাই ফ্রুট ও মিষ্টি দিয়ে হালকা নেড়ে দমে রাখুন। ভাত সেদ্ধ হয়ে জর্দা হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। পরিবেশন করুন মজাদার মুতাঞ্জন জর্দা।
লাচ্ছা সেমাইয়ের লাড্ডু
ঈদের সন্ধ্যায় অতিথিদের আপ্যায়ন করতে সেমাই, পায়েস, নুডলস, চটপটির পাশাপাশি রাখতে পারেন লাচ্ছা সেমাইয়ের লাড্ডু।
উপকরণ
১ প্যাকেট লাচ্ছা সেমাই, ১ কাপ বাদামকুচি, ৮-১০ টি কিশমিশ, ৩-৪টি এলাচি, ২ টুকরো দারুচিনি, ১ কাপ দুধ, ড্রাই কোকোনাট (পরিমাণমতো), ২-৩ চা-চামচ গুঁড়া দুধ, ৪-৫ চা চামচ কনডেন্সড মিল্ক, ৩ চা-চামচ ঘি ও স্বাদমতো চিনি।
প্রণালি
প্রথমে চুলায় একটি পাত্রে ঘি ঢেলে তাতে এলাচি ও দারুচিনি অল্প ভেজে নিতে হবে। ভাজা হলে সেমাই দিয়ে নাড়তে হবে। সেমাইয়ের রং অল্প পরিবর্তন হয়ে বাদামি হতে থাকলে বাদাম, কিশমিশ, ড্রাই কোকোনাট ও চিনি দিয়ে আবার নাড়াচাড়া করতে হবে।
চিনির পানি শুকিয়ে এলে এতে তরল দুধ দিয়ে সেদ্ধ করে কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে। এর মধ্যে গুঁড়া দুধ দিয়ে দিন। একটু ঘি দিলে স্বাদ আরও বেড়ে যায়। যখন শুকিয়ে আসবে, তখন নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে নিতে হবে। তারপর হাতে ঘি মেখে গোল গোল করে লাড্ডু তৈরি করে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
ইসলামিক সংস্কৃতিতে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার জন্য খাবারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। চলুন একবার দেখে নেওয়া যাক কোন দেশে ঈদ উৎসবে কোন বিশেষ ধরনের খাবারগুলো খাওয়া হয়।
১২ ঘণ্টা আগেদেশের তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি অন্যতম। এই জেলাটিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধারও বলে লোকজন। ফলে এখানে পর্যটকদের যাতায়াত আছে বেশ। যোগাযোগ ব্যবস্থাও দারুণ। ঈদের লম্বা ছুটিতে হাতে তিন থেকে চার দিনের সময় নিয়ে গেলে প্রকৃতির চোখ জুড়ানো রূপ দেখে আসা যাবে।
১৫ ঘণ্টা আগেদাওয়াতে উজ্জ্বল রঙের কাতান, অরগাঞ্জা বা সিল্কের শাড়ি, মানানসই লিপস্টিক, চোখে কাজল ও মাসকারা আর ম্যাচিং গয়না; এইতো, আর কী চাই!
১ দিন আগেবাংলাদেশে সেমাই একটি জনপ্রিয় খাবার, বিশেষ করে ঈদ বা উৎসবের সময়। এটি সাধারণত গম থেকে তৈরি ময়দা দিয়ে বানানো হয়। দুধে ভিজিয়ে, ভেজে বা মিষ্টি সিরাপে মিশিয়ে এটি রান্না করা যায়।
২ দিন আগে