হোম > জাতীয়

চলতি বছর প্রথম ১০ মাসে ৪৮২ শিশু নিহত: আসক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৪ সালের প্রথম দশ মাসে ৪৮২ শিশু মারা গেছে। ২০২৩ সালের প্রথম দশ মাসে এই সংখ্যা ছিল ৪২১। এছাড়া চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫৮০ শিশু, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৯২০ জন।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত একটি সংলাপে এ তথ্য জানানো হয়। আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) এবং চাইল্ড রাইটস অ্যাডভোকেসি কোয়ালিশন ইন বাংলাদেশ (সিআরএসি, বি) যৌথভাবে এই সংলাপের আয়োজন করে। সিআরএসি, বি দেশের প্রথম সারির ১৪টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, শিশু অধিকার প্ল্যাটফর্ম, সংগঠন এবং ফোরামের সমন্বয়ে গঠিত। সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আসকের প্রজেক্ট অফিসার শান্তা ইসলাম।

শান্তা ইসলাম বলেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর হিসাবমতে, চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে শারীরিক নির্যাতনের কারণে মৃত্যু, সহিংসতার কারণে মৃত্যু, ধর্ষণের পরে হত্যা, ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা, অপহরণ ও নিখোঁজের পর হত্যাসহ বিভিন্ন কারণে নিহত হয় মোট ৪৮২ শিশু।

তিনি জানান, ২০২৪ সালের প্রথম দশ মাসে শিক্ষক কর্তৃক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩৯ শিশু, ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২১৭ শিশু, ১৫ শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, ধর্ষণ চেষ্টার শিকার ৬১ এবং যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে ৩৪ শিশু।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালের যৌন হয়রানি বন্ধের লক্ষ্যে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই সব প্রতিরোধে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক আইন প্রণয়ন করা জরুরি বলে জানান তিনি।

আসকের প্রাপ্ত তথ্য তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১২১ শিশু মারা গেছে।

শান্তা ইসলাম বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ শিশু অধিকার রক্ষায় বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও শিশুদের পরিস্থিতি আশানুরূপ অগ্রগতি অর্জন করেনি, কেননা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব পদক্ষেপের বাস্তবায়ন ঘটেনি।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টেরি ডেস হোমসের কান্ট্রি ডিরেক্টর এম কবির বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য এখন পর্যন্ত আমরা শিশুদের নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে খুব বেশি পরিকল্পনা কিংবা পদক্ষেপ লক্ষ্য করছি না। কোয়ালিশন মনে করে, জরুরি ভিত্তিতে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে শিশুদের অধিকার উন্নয়ন ও সংরক্ষণে বিদ্যমান ব্যবস্থাগুলো আরও কার্যকর করা, জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং আরও নতুন নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যাবশ্যকীয়।’

এ সময় কোয়ালিশন সরকারের কাছে শিশুদের জন্য পৃথক অধিদপ্তর করা, শিশুদের অনলাইন বিচরণে সচেতনতা বৃদ্ধি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, গৃহকর্মীদের জন্য আইন প্রণয়ন এবং ডেটাবেজ তৈরির সুপারিশ প্রস্তাব করে।

এছাড়া, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় আহত ও নিহত শিশুদের পূর্ণাঙ্গ ও গ্রহণযোগ্য তালিকা প্রকাশ করা, নিহতের পরিবারের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও আহত শিশুদের জন্য সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন ব্যবস্থারও দাবি জানান তিনি।

তারা অনলাইনে শিশু যৌন শোষণ রোধ করতে বিদ্যমান আইনগুলোতে; যেমন—পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২, শিশু আইন ২০১৩ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এ; সাইবার অপরাধের নতুন রূপগুলোকে সংজ্ঞায়িত এবং অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে বাল্যবিয়েকে শুরুতেই বাতিল ঘোষণা করে একটি বিধান অন্তর্ভুক্ত করা, বাল্যবিয়ে নিরোধে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটিগুলোর কার্যক্রম জোরদার করা এবং বাল্যবিয়ে নিরোধে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিকে ডিজিটালাইজড করার সুপারিশ প্রস্তাব করেন।

পাঁচ মাসে মাজার-দরগায় ৪৪ হামলা: প্রেস উইং

বিএফআইইউয়ের সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার

লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৪৭ বাংলাদেশি

বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না হুমায়ুনের

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে মতামত দিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ৬ দিন সময়

সস্তায় বিক্রি হচ্ছে শৈশব

হজযাত্রীদের সঙ্গে চুক্তি করছে না এজেন্সিগুলো

বেশি দামে কেনা নেপালের বিদ্যুতেও ভারতনির্ভরতা

দেওয়ানি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে একগুচ্ছ সুপারিশ কমিশনের

আদিবাসীকে অস্বীকারের সঙ্গে রাষ্ট্রক্ষমতার সম্পর্ক আছে: আনু মুহাম্মদ

সেকশন