নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর বক্তব্য নিয়েছে মামলা তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্স। আজ সোমবার সকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কার্যালয়ে তাঁর বক্তব্য নেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
গত বছরের ২৩ অক্টোবর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তে চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। টাস্কফোর্সকে এই হত্যা মামলার তদন্ত ছয় মাসের মধ্যে শেষ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সাগর–রুনি হত্যা মামলা তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্স আজ সকালে পিবিআই কার্যালয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে। সেখানে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা ধরে তাঁর বক্তব্য নেওয়া হয়। এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
এ বিষয়ে টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান পিবিআইয়ের প্রধান মো. মোস্তফা কামাল জানান, ইকবাল সোবহান চৌধুরী সাংবাদিক দম্পতি সাগর–রুনি হত্যাকাণ্ডের পর অনেক কথা বলেছেন, বক্তব্য দিয়েছেন। সে ব্যাপারে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অন্য ব্যক্তিদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় এই সাংবাদিক দম্পতি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক। ওই হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।
প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানা–পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। গত বছরের ৪ নভেম্বর র্যাবের হাত থেকে পিবিআই ওই মামলা তদন্তের দায়িত্ব বুঝে নেয়।
এর আগে একযুগ পার হলেও মামলার তদন্তে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে ১১৪ বার সময় নেওয়া হয়েছে।
টাস্কফোর্সে পিবিআইয়ের প্রধান ছাড়া অন্য তিন সদস্য হলেন—পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ থেকে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক পদমর্যাদার একজন করে দুজন এবং র্যাব থেকে পরিচালক পদমর্যাদার একজন।