করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৩৩৯ জন। আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যেখানে গতকাল ১৬ জনের মৃত্যু এবং ৩১৪ জন রোগী শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
জুনের শেষ থেকে আগস্টের শেষ নাগাদ পর্যন্ত টানা দৈনিক মৃত্যু ১০০-এর ওপরে ছিল। এমনকি কোনো কোনো দিন মৃত্যু ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। ১০ ও ৫ আগস্ট ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আরটি–পিসিআর, জিন এক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন মিলিয়ে ৮৩১টি সক্রিয় ল্যাবে ১৮ হাজার ৮১২টি নমুনা পরীক্ষা করলে ৩৩৯ টিতে করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। সে হিসাবে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৮০ শতাংশ।
যেখানে গত ২৪ ঘণ্টার আগে ৮২৯টি সক্রিয় ল্যাবে ১৮ হাজার ৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করলে ৩১৪ টিতে করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। সে হিসাবে রোগী শনাক্তের হার ছিল ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
এর আগে সর্বশেষ ২১ ফেব্রুয়ারি শনাক্তের হার ২ শতাংশে নেমেছিল। এরপর ক্রমেই বেড়েছে। এপ্রিল-মে মাসে কিছুটা কমলেও পরের মাসগুলোতে টানা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। জুলাই মাসে চূড়ায় ওঠে। আগস্টের শুরু থেকে ক্রমান্বয়ে শনাক্তের হার কমতে শুরু করে।
এদিকে ঢাকা বিভাগে গত এক দিনে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর চট্টগ্রামে ২ জন, খুলনায় ৩ জন, রাজশাহীতে ১ জন এবং সিলেটে ১ জন করোনা রোগী মারা গেছেন। এ সময় বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি।
এক দিনে করোনায় মৃত ১০ জনের মধ্যে ১০ জনই সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ৪ আর নারী ৬ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন ৫০৯ জন রোগী। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৫ লাখ ২৮ হাজার ৩৭১ জন। যেখানে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ৮২৭ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৭৭৮ জন করোনা রোগীর।