নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী ২ মার্চ যাঁরা চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন, তাঁদের কোনো তথ্য ভুল থাকলে তা সংশোধনের জন্য আর মাত্র চার দিন সময় বাকি আছে। সংশোধনের আবেদন করা যাবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।
ইসি সূত্র জানায়, ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর কোনো দাবি, আপত্তি ও সংশোধন থাকলে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় ১৭ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে। সংশোধনী কর্তৃপক্ষ দাবি, আপত্তি ও সংশোধনীর জন্য জমা দেওয়া আবেদন ৩০ জানুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তি করবে। ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাখিল হওয়া আবেদনের ওপর গ্রহণ করা সিদ্ধান্ত সন্নিবেশ করতে হবে। পরে ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
চলতি বছরের খসড়ায় নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন। এতে এখন দেশে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ১০৩ জন, মহিলা ভোটার ৬ কোটি ৩ লাখ ৫২ হাজার ৪১৫ জন এবং হিজড়া ভোটার ৯৯৪ জন। দাবি, আপত্তি, নিষ্পত্তি শেষে ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এ ছাড়া আগামী বছরের ভোটার তালিকা হালনাগাদে জন্য আগাম নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করবে ইসি। এ জন্য ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাঁদের জন্ম ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, এমন নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তথ্য সংগ্রহের এই কার্যক্রম চলবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ সময় তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্য ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ এবং মৃত ভোটারকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার তথ্য সংগ্রহ করবেন। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন কেন্দ্রে বায়োমেট্রিকসহ নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলা ও থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে ভোটার এলাকা স্থানান্তরের আবেদন গ্রহণ, মৃত ভোটারদের নাম বাদ কর্তনের তথ্যাদি এবং নতুন ভোটারের তথ্য বাংলাদেশ ভোটার রেজিস্ট্রেশন সফটওয়্যারের (বিভিআরএস) সাহায্যে ডেটা এন্ট্রি ও ডেটা আপলোড; ৫ মে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ খসড়া ভোটার তালিকার পিডিএফ প্রস্তুত ও সিএমএস পোর্টালে লিংক সরবরাহ করবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, এই হালনাগাদে সংগ্রহ করা নাগরিকদের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা আগামী বছরের ২ মার্চ প্রকাশ করা হবে।