অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট ডি-৮ বা ডেভেলপিং এইটের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী শনিবার। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অর্থনৈতিক সহযোগিতার এই জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবে বাংলাদেশও। মূলত গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিপরীতে দেশটির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান প্রকাশ করতেই এই সম্মেলন।
তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে একটি সম্মিলিত অবস্থান নেওয়ার জন্য ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলো এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। তবে এই সম্মেলনের মূল আয়োজক তুরস্ক। সদস্য দেশগুলো গাজা ইস্যুতে একটি শক্তিশালী যৌথ ঘোষণা দেবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
সম্মেলনে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার, ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি, মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান, ইরানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাঘেরি কানি এবং বাংলাদেশের সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনিসহ মিশর ও নাইজেরিয়ার উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বের নেতৃস্থানীয় মুসলিম দেশগুলো নিয়ে গঠিত এই জোটের মোট জনসংখ্যা ১২০ কোটি এবং দেশগুলোর সম্মিলিত দেশজ উৎপাদন জিডিপি ৪ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। বিশ্লেষকেরা বলছেন, গাজা ইস্যুতে ডি-৮-এর অবস্থান অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) এবং আরব লিগের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বাড়তি শক্তি যোগ করবে এবং এই প্রচেষ্টাগুলোর কার্যকারিতা বাড়াবে।
গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার জন্য তুরস্ক অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আইনি লড়াইয়ের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে যাতে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যায়। আর তাই অর্থনৈতিক সহযোগিতার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হলেও ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গাজার মতো একটি রাজনৈতিক ইস্যুতে জোটের এই বৈঠক মূলত তুরস্কের সেই আগ্রহেরই বহিঃপ্রকাশ।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ১৫ জুন তুরস্কের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজমুদ্দিন আরবাকান মুসলিম বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিয়ে অর্থনৈতিক সহযোগিতার এই জোটের প্রস্তাব দেন। তাঁর সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতেই তুরস্ক ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, মিসর, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তান মিলে এই জোট গঠন করে। জোটের সদর দপ্তর স্থাপন করা হয় ইস্তাম্বুলে।