ফুটবলে যোগ্য খেলোয়াড়দের বঞ্চিত করার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, স্বজনপ্রীতি বা সিন্ডিকেটের প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেবে সরকার।
আজ বুধবার বেলা আড়াইটায় রাজধানীর নগর ভবনে বাংলাদেশ ফুটবলের নতুন সম্ভাবনা হামজা চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
আলোচনায় সিন্ডিকেট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনীত অভিযোগ ও ফাহমিদুলের বাদ পড়া প্রসঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, দেশের স্বার্থে যোগ্য খেলোয়াড়দের বঞ্চিত করার কোনো সুযোগ নেই। প্লেয়ার সিলেকশনে যেন স্বজনপ্রীতি বা সিন্ডিকেটের শিকার কেউ না হন—সে বিষয়ে বাফুফেকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এ বিষয়ে দুর্নীতির প্রমাণ পেলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে।
হামজার অন্তর্ভুক্তিকে দেশের ফুটবলের জন্য আশাব্যঞ্জক হিসেবে উল্লেখ করে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, হামজার মতো খেলোয়াড়ের উপস্থিতি প্রতিপক্ষের জন্য চাপের কারণ হবে।
বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে হামজা চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় আমি আপ্লুত। দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
আসন্ন এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৭ কোয়ালিফায়ারে বাংলাদেশ দলের অংশগ্রহণ ও সাম্প্রতিক বিতর্ক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বাফুফে সভাপতি কথা বলেন। সিন্ডিকেটের বিষয়ে জানতে চাইলে তাবিথ আউয়াল বলেন, ফুটবল ফেডারেশনে সিন্ডিকেটের কোনো সুযোগ নেই। যোগ্যতা অনুযায়ী সবাই জায়গা পাবে। যদি কোনো অনিয়মের আভাস পাওয়া যায়, তবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফাহমিদুলের বাদ পড়া নিয়ে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘ওকে আমরা বাদ দিইনি। ও প্রতিভাবান, তবে আরও সময় দিতে চাই। জুনে দেশের মাটিতে আমাদের ম্যাচ আছে, হয়তো তখন তাকে দেখা যাবে। সমর্থকদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই।’
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের জন্য শুভকামনা জানিয়ে হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি দলকে আরও আত্মবিশ্বাসী করবে এবং ফলাফল বাংলাদেশের পক্ষে আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।