হোম > জাতীয়

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিস্ফোরক মামলায় ২ শতাধিক আসামির জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় দুই শতাধিক আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এই আদেশ দেন।

বিডিআর বিদ্রোহ মামলার চিফ প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আদালত বলেছেন যাঁরা হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন এবং এ মামলার সাক্ষীরা যাঁদের নাম বলেননি, তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে ঠিক কতজনের জামিন দেওয়া হয়েছে, তা এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জানান, পিলখানা মামলায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইন ও হত্যার অভিযোগে দুটি মামলা ছিল। হত্যা মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। হত্যা মামলায় ২৫০ জনের বেশি আসামি খালাস পেয়েছিলেন। খালাসপ্রাপ্তদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছে। বাকি যাঁরা আছেন, তাঁদের বেশির ভাগকেই আজ আদালত জামিন দিয়েছেন।

পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় বিচারিক আদালত ও হাইকোর্ট ইতিমধ্যে রায় দিয়েছেন। মামলাটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য এখন আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

অন্যদিকে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় বিচারিক আদালতে এখনো সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। এ মামলার সাক্ষী ১ হাজার ৩৪৪ জন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৭৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

১৬ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ—বিজিবি) সদর দপ্তর ঢাকার পিলখানায় বিদ্রোহ হয়। প্রায় দুই দিনব্যাপী চলা বিদ্রোহে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সব মিলিয়ে ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পিলখানায় হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলা হয়। পরে অভিযোগপত্রে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আসামি করা হয় ৮৫০ জনকে। বিচারিক আদালত ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এ মামলার রায় দেন। রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে খালাস পান ২৭৮ জন। রায় ঘোষণার আগে চার আসামি মারা যান।

যেকোনো হত্যাকাণ্ডের মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাইকোর্টে অনুমোদনের জন্য আসে। পিলখানা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষে তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত হয়।

রায়ে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় ২২৮ জনকে। খালাস পান ২৮৩ জন। হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন।

আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামির পক্ষে পৃথক ৭৩টি আপিল ও লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হয়েছে। অন্যদিকে হাইকোর্টের রায়ে যাঁরা খালাস পেয়েছেন এবং যাঁদের সাজা কমেছে—এমন ৮৩ জন আসামির বিষয়ে ২০টি লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

আসামিদের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম আরও জানান, যাঁরা জামিন পেয়েছেন, তাঁরা কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন শিগগিরই।

যেভাবে ইতিহাস হলো আসাদের রক্তভেজা শার্ট

জুলাই–আগস্টের গণহত্যা: চিফ প্রসিকিউটরের সঙ্গে গোয়েন লুইসের বৈঠক

সোমবার সুইজারল্যান্ডে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

শাপলা-শাহবাগ ফেরত আনার চেষ্টা হচ্ছে: মাহফুজ আলম

অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন: সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারে ব্রিটিশ আইনজীবীর পরামর্শ নেয় হাসিনা সরকার

সাবেক মন্ত্রী নওফেল ও বিপুর স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা কারা, তালিকা করতে কমিশন গঠন চেয়ে রিট

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পুতুলকে অপসারণে দুদকের তৎপরতা

ওপারের কেউ অবৈধভাবে এপারে আসতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গবেষণায় শিক্ষক-কর্মচারীরা পাবেন আর্থিক সহায়তা, নীতিমালা জারি

সেকশন