বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকার আদাবরে পোশাকশ্রমিক সোহেল রানার মৃত্যুর ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার নিহত সোহেলের ভাই মো. ইব্রাহীম ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালতে মামলাটি করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাঁর অভিযোগ আদাবর থানাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, সাবেক সংসদ সদস্য মাইনুল হোসান খান নিখিল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাদেক খান, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, আদাবর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব রহমান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আদাবর থানার সামনে বেলা দেড়টার দিকে পোশাকশ্রমিক সোহেল রানা মিছিল করছিলেন। এ সময় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের ছোড়া গুলিতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাঁকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আসামি হিসেবে বর্ণিত সাবেক মন্ত্রীরা, আওয়ামী লীগ নেতারা ও তাঁদের অধীন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের পরিকল্পনায় পুলিশ সদস্যরা এবং আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বেপরোয়া গুলিবর্ষণ করে বাদীর ভাইকে হত্যা করেন।
এ পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২২টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি হত্যা মামলা, একটি অপহরণ মামলা ও তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা।