মানুষের নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও পুলিশ গুলি করতে দ্বিধা করে না বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। এ সময় কারাগারে শূন্য থাকা ২০টি পদে আগামী এক মাসের মধ্যে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জে আর খান রবিন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তীর্থ সলিল পাল। আর কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের আইনজীবী সফিকুল ইসলাম।
শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, ‘পুলিশও গুলি করতে দ্বিধা করে না, যে একটা মানুষ মরে যাচ্ছে। এই দেশের মানুষও পুলিশকেও সেভাবে সম্মান করে না। পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রাখে। চিন্তা করতে পারেন কত নৃশংস? আমাদের সমাজের আমূল পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের শিক্ষকেরা দলীয় কারণে বিভক্ত। শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের উসকে দেয়। পলিটিশিয়ানরা উসকে দিচ্ছে। তাঁরা শিখবে কার কাছ থেকে?’
হাইকোর্ট বলেন, ‘এখন যেসব ডাক্তার বের হচ্ছেন, তাঁরা আপডেট না। তাঁরা মান্ধাতার আমলের পড়াশোনা করছেন। যার ফলে ডাক্তারের কাছে গেলেই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দিচ্ছেন।’
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, ‘আপনারা ডাক্তার দেন। একজনের দায়িত্ব অন্যজনের কাঁধে চাপানো বন্ধ করেন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির আইনজীবী তীর্থ সলিল পাল বলেন, ‘কারাগারে থাকা চিকিৎসকেরা প্রশিক্ষণের সুযোগ পান না, একাডেমিক প্রক্রিয়ায় সমস্যা হয়।’ আদালত বলেন, ‘ডাক্তার দিতে কত দিন লাগবে? এক মাস পর আসেন। ডাক্তার দেন। নইলে ডিজিকে ডাকব।’
আদালত থেকে বের হয়ে কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের আইনজীবী সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পজিটিভ উত্তর দিতে পারেনি। তাঁরা বলেছেন, বিভিন্ন অসুবিধার কারণে ডাক্তার চলে যায়। কারাগারে থাকা ডাক্তারদের প্রমোশন, উচ্চ শিক্ষায় সমস্যা হয়।’
জেআর খান রবিন বলেন, ‘১৪১টি পদের বিপরীতে ১২১ জন ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২০ জনকে আগামী এক মাসের মধ্যে নিয়োগ দিয়ে আদালতকে জানাতে বলেছেন।’
আরও খবর পড়ুন: