Ajker Patrika

মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন আবরার ফাহাদ

আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৫, ১২: ৪৬
আবরার ফাহাদ। ফাইল ছবি
আবরার ফাহাদ। ফাইল ছবি

ছাত্রলীগের নির্যাতনে প্রাণ হারানো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেবে সরকার। আজ সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসিকতার প্রতীক, মুক্ত চিন্তার এক প্রতিচ্ছবি—আবরার ফাহাদ। মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষিত হওয়া তার আত্মত্যাগের স্বীকৃতি। তার আদর্শ আমাদের আলোকিত করে, ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়। জাতি তোমাকে ভুলবে না, আবরার!’

আবরার ফাহাদ ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থী। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের হলেই তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা–কর্মী। সেখানে তাঁকে দীর্ঘ সময় ধরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ভারত–বাংলাদেশ চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা করায় আবরার ফাহাদকে হত্যা করে ছাত্রলীগ। এই হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের জন্ম দেয়। শিক্ষার্থীরা বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে।

পরে এ ঘটনায় মামলা হয়। পুলিশ ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয়, যার মধ্যে অধিকাংশই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা–কর্মী। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর আদালত ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েট প্রশাসন ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে। পরবর্তীতে আবরারের পরিবার ও সাধারণ জনগণ তাঁর স্মৃতিকে ন্যায়বিচারের প্রতীকে পরিণত করেছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা আরও জোরালো হয়েছে।

আবরার ফাহাদের মৃত্যু বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে সহিংস রাজনীতির ভয়াবহ দিককে উন্মোচিত করেছে। ন্যায়বিচারের দাবিতে সাধারণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের প্রতীকও হয়ে উঠেছে এই ঘটনা।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত