হোম > জাতীয়

স্থানীয় নির্বাচনের কথা ভাবছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০২: ৩২
ফাইল ছবি

প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হলেও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান থেকে জনগণ কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না বলে মনে করছে সরকার। এ জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা ভাবা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এ মনোভাবের কথা তুলে ধরেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘প্রশাসক দিয়ে জনগণের কাছে সেবা পৌঁছাতে পারব কি না, তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সরকারের অনেক সেবা জনগণ নিয়মিত পাচ্ছে না। তাই প্রশাসক দিয়ে সামলানোতে আমরা ঘাটতি দেখতে পাচ্ছি। তাই প্রস্তাব আকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে নাগরিকদের সেবাপ্রাপ্তির সুযোগ তৈরি হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে অগ্রসর হতে পারব।’

জাতীয় নির্বাচন কবে হতে পারে? এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এরই মধ্যে বলেছেন জাতীয় নির্বাচন হবে সংস্কার সাপেক্ষ। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন এ মাসেই পাব। তাদের প্রস্তাবগুলো হবে নির্বাচনকেন্দ্রিক। সেগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করব। সেখানেই রাজনৈতিক দলগুলো ঠিক করবে, কতটা সংস্কার করতে চায়। সংস্কারের মেয়াদ বা পরিধির ভিত্তিতে নির্বাচনের সময় নির্ধারিত হবে। এটা আজকালের মধ্যে ঠিক হওয়াটা যৌক্তিক হবে বলে মনে করি না।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের বিষয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে সরকার আলোচনা করবে জানান উপদেষ্টা মাহফুজ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রস্তাব ও সবার ঐকমত্যে ঘোষণাপত্র আসবে। যাতে বিগত আওয়ামী লীগ আমলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের অবদানের কথা থাকবে।

৩১ ডিসেম্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দিলে জাতীয় ঐক্য ও দেশের স্থিতিশীলতার প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় সরকার ঘোষণাপত্রের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। উপদেষ্টা তিনি বলেন, ‘শুধু রাজনৈতিক দল নয়, গণ-অভ্যুত্থানের যতগুলো পক্ষ আছে সবার সঙ্গে কথা বলে সরকার আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদনটির ব্যাপারে, কবে এ ঘোষণাপত্র, কীভাবে ঘোষণাপত্র প্রকাশিত বা ঘোষিত হবে, তা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তটি জানাবে।’

রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার কারণে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ঘোষণাপত্র নাও আসতে পারে বলে জানান মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, ‘সরকার চাচ্ছে সব পক্ষের সঙ্গে ঐকমত্যের মাধ্যমে হোক। আমরা মনে করি, শিক্ষার্থীরা ধৈর্য ধারণ করবে, সংযম দেখাবে। এটা সর্বসম্মতিক্রমে হলে বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে।’

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীরা সব পাঠ্যবই পাবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, সবাই আগামী মাসের মধ্যে বই হাতে পাবে। আগের সরকারের (আওয়ামী লীগ) এক দিনের জন্য বই উৎসব করত। সেখানে দেখাতে চাইত সবাই জানুয়ারির প্রথমে বই পেত। কিন্তু সরকারি তথ্য বলছে, ২০১০ সালের পর থেকে বই সরবরাহ হতে হতে মার্চ বা কোনো কোনো বছর জুলাইও হয়ে গেয়েছিল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা factcheck@ajkerpatrika.com

থানা থেকে পালানো সাবেক ওসি শাহ আলমকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের দু-তিন দিনের মধ্যে নিয়োগ