সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারত সরকারকে তাগিদ দেবে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তাগিদ দেওয়ার আগে সরকার আরও কিছুদিন সময় নেবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আজ বৃহস্পতিবার এ কথা বলা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ‘পদত্যাগ করে’ শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতের দিল্লি চলে যান। তাঁকে ফেরত চেয়ে দেশটিকে গত ২২ ডিসেম্বর কূটনৈতিক পত্র দেওয়া হয়। এই পত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্রও দেওয়া হয়।
জেনেভা থেকে গত বুধবার প্রকাশিত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থার প্রতিবেদনে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের সময় নির্বিচার হত্যাকাণ্ড ও নৃশংসতার জন্য হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, এমন তথ্য উঠে আসে। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার প্রসঙ্গটি গতকাল আবার সামনে আনে বিএনপিসহ বিভিন্ন মহল।
হাসিনাকে ফেরত চেয়ে দেওয়া প্রথম পত্রের জবাব মিলেছে কি না—এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম ব্রিফিংয়ে বলেন, জবাব এখন পর্যন্ত আসেনি।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে সরকার এখন তাঁকে ফেরত দিতে ভারতকে তাগিদ দেবে কি না—এমন প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, ‘প্রতিবেদনে যা প্রকাশ করা হয়েছে তা যে কাউকে নাড়া দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।’
হাসিনার ফেরার বিষয়টিতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উভয় ধরনের ব্যাপার আছে, এমনটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতের জবাবের জন্য সরকার আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে পারে। তবে সঠিক সময়ে এ বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হবে।