প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আশা প্রকাশ করেছেন যে, তাঁর ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২৫ সাল হবে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের জন্য নবযাত্রার একটি বছর। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ২০২৫ সালেই বাংলাদেশের বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণরুপে প্রভাবমুক্ত হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতার সুফল ভোগ করবে। রাষ্ট্রের একটি স্বাধীন অঙ্গ হিসেবে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার মাধ্যমে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে সক্ষম হবে।
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের উচ্চ আদালত ও জেলা আদালতের বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরুপে ই-জুডিসিয়ারির আওতায় আনতে আগামীতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া বিচার বিভাগে মেধার চর্চার বিকাশ বৃদ্ধিতে প্রধান বিচারপতি ফেলোশিপ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ২০২৫ সালের প্রথম দিকেই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হবে মর্মে আশা করা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২ জানুয়ারি থেকে হাইকোর্ট বিভাগের কোম্পানি সংক্রান্ত একটি বেঞ্চে সম্পূর্ণ কাগজমুক্ত বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব তত্ত্বাবধান ও উদ্ভাবনে ওই বেঞ্চের সকল কাগজাদি অনলাইনে জমা প্রদানের জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম এরইমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০২৫ সালে পর্যায়ক্রমে সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বেঞ্চেও কাগজবিহীন কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করছেন প্রধান বিচারপতি।