আজ ১০ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের এদিনে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসই তিনি পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (সাবেক রেসকোর্স) পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান। এরপর যুক্তরাজ্যের লন্ডন, ভারতের নয়াদিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি ঢাকায় ফেরেন তিনি।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি মুক্ত স্বাধীন স্বদেশের মাটিতে ফিরে শেখ মুজিবুর রহমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বক্তব্য দেন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০২৪ সাল পর্যন্ত দিনটি ঘটা করে পালন করা হয়েছে। কিন্তু গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা রয়েছেন আত্মগোপনে। অনেকে দেশ ছেড়েছেন।
এদিকে গত বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ১০ জানুয়ারি উপলক্ষে কর্মসূচি পোস্ট করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে–ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, শীতবস্ত্র ও খাদ্য বিতরণ। এ ছাড়া দিনটি উপলক্ষে আলোচনা সভা করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আওয়ামী লীগ ফেসবুক পেজে গত ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, ১৪ ও ১৬ ডিসেম্বর আলোচনা সভার কর্মসূচি দিলেও তা পালন করতে দেখা যায়নি। রাজধানীর জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভের কর্মসূচি দিলেও মাঠে দেখা যায়নি দলটির নেতা-কর্মীদের।