ঢাবি প্রতিনিধি
মঙ্গল শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের সামনে সাদা পাঞ্জাবি, মাথায় ক্যাপ ও গায়ে গামছা জড়ানো অবস্থায় দেখা মেলে এক বিদেশির। কাছে গিয়ে নাম-পরিচয় জিজ্ঞেস করতেই জানান—নাম অ্যাডাম, সুইজারল্যান্ডের নাগরিক তিনি। মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে অ্যাডাম বললেন, ‘বিউটিফুল হেয়ার, অনেক মজা।’
অ্যাডাম আরও বলেন, ‘নববর্ষের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জায়গাগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেছি। বিভিন্ন স্ট্যাচু দেখছি, অনেক সুন্দর। অনেক মানুষ এখানে জড়ো হয়েছে, সবকিছু সুন্দরে ভরপুর। আমাদের মন আনন্দে ভরে উঠুক।’ এরপর ধন্যবাদ দিয়ে কথা বলা শেষ করেন তিনি।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাবলয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকাল ৯টায় শুরু হয় বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বরণের মঙ্গল শোভাযাত্রা। চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ হয়ে আবার চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয় এই শোভাযাত্রা।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া নারীদের পরনে ছিল শাড়ি আর মাথায় ছিলে ফুলের টায়রা। পুরুষদের পরনে ছিল পাঞ্জাবি। ছয়টি মোটিফ সামনে রেখে আয়োজন হয় এবারের শোভাযাত্রা। প্রধান দুই মোটিফ হলো মায়ের কোলে শিশু এবং নীলগাই। মায়ের কোলে সন্তান যেমন নিরাপদ, প্রতীকীভাবে বৈশ্বিক শান্তির বার্তা রয়েছে সেখানে। এ ছাড়া বিপন্ন হারিয়ে যাওয়া প্রাণীদের প্রতীকী হিসেবে রাখা হয়েছে নীলগাই। এ ছাড়া আরও চারটি মোটিফ শোভাযাত্রায় প্রদর্শিত হয়। সেগুলো হলো ভেড়া, হরিণ, বাঘ ও ময়ূর।
মঙ্গল শোভাযাত্রা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি রয়েছে। নববর্ষ উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।