হোম > জাতীয়

জুডিশিয়ারি রক্ষা করতে পারলে অনেককে দেশ ছাড়তে হতো না: ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২: ১০
আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২: ৫৪
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক । ছবি: সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘জুডিশিয়ারিকে রক্ষা করতে পারলে অনেক লিডারকে দেশ ছাড়তে হতো না। অনেককে জেলে যেতে হতো না। আমাদের জুডিশিয়ারি, প্রেস ও মানুষের স্বাধীনতা ছিল। কিন্তু এই স্বাধীনতাকে গত সরকার হরণ করেছিল। জুডিশিয়ারিকে যদি আমরা বাঁচাতে পারতাম, তাহলে এই জাতি অনেক আগেই একনায়কতন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেত। আজকে বার, বেঞ্চ, আপামর জনসাধারণ—সবার একটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত, আমরা আমাদের জুডিশিয়ারিকে কোনো সময়ই পরাধীন হতে দেব না। আমরা একটা স্বাধীন বার গড়ে তুলব।’

আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।

জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান, মোহাম্মদ হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক অ্যাসোসিয়েটস এই সংবর্ধনার আয়োজন করে।

১১ বছর পর দেশে আসা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘আমরা যদি সত্যিকার অর্থে এই বাংলাদেশকে তার নিজের জায়গায় নিয়ে যেতে চাই, তাহলে সব ধরনের ইন্টারেস্ট থেকে বারকে মুক্ত করতে হবে। আমরা স্বাধীন বার, স্বাধীন জুডিশিয়ারি চাই। যদি এগুলো নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে সত্যিকার অর্থে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। আমার আহ্বান হবে, আমরা বাইরে রাজনীতি করব। কিন্তু এখানে মেম্বার অব দ্য বার।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ১১ বছর পরে দেশে ফিরে এসেছেন, এ জন্য আমি আনন্দিত। একজন আইনজীবী তাঁর মক্কেলের পক্ষে কথা বললে, আইনি সহায়তা করলে, তাঁকে বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করতে হয় ১১ বছর, সেটা ব্যারিস্টার রাজ্জাককে দেখলে বোঝা যায়। আমি মনে করি, ব্যারিস্টার রাজ্জাক যে একটি প্রতিষ্ঠান, তিনি যে ক্ষণজন্মা পুরুষ, সেটা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার মনের অজান্তে প্রমাণ করে গেছে।

সুপ্রিম কোর্টে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক । ছবি: আজকের পত্রিকা

বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক (আইনের) ধারালো অস্ত্র ধরে রাখতেন বলে স্বৈরাচারী সরকার তাঁকে দেশে থাকতে দেয়নি। আল্লাহ উনাকে আবার ফিরিয়ে দিয়েছেন।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের ১১ বছর আগে চলে যাওয়া, আবার ফিরে আসা আমার কাছে অলৌকিক মনে হয়। ৫ আগস্টের আগে কেউ মনে করেননি শেখ হাসিনার মতো প্রতাপশালী শাসক এভাবে পালিয়ে যাবে। বাংলাদেশের মানুষের জীবনে এর চেয়ে বড় অর্জন আর কিছু হতে পারে না। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে এই দিন তিনি মানুষকে দেখিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা factcheck@ajkerpatrika.com

অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

শেখ হাসিনা পরিবারের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে: দুদক

গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব মাসুদ রানা

৫০ বছরে ইতিহাসের বিতর্ক নিয়ে গণমাধ্যমে কখনো সম্পাদকীয় ছাপা হয়নি: শিক্ষা উপদেষ্টা