গণতন্ত্রী পার্টির দুই পক্ষের ১০ প্রার্থীকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
আজ বুধবার চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম নির্বাচন কমিশনকে এ নির্দেশ দেন। এর ফলে তাঁদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে আর কোনো বাধা রইল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি কমিটি নির্বাচন কমিশনে আলাদাভাবে দাখিল করেছিল। পরে ইসি দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সঙ্গে তাঁদের দাখিল করা সব প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করে।
ইসির গৃহীত পৃথক সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে সাধারণ সম্পাদক দাবি করা ভূপেন্দ্র ভৌমিকসহ সাতজন হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট দলটির নিবন্ধন বাতিল ও আগ্রহী প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিলে ইসির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে নির্বাচন কমিশন।
গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি দাবিদার শাহাদাত হোসেনসহ তিন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে পৃথক রিট করেন। তবে সে রিট শুনানির আগেই তাঁরা আপিল বিভাগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পক্ষভুক্ত হন। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত উভয় পক্ষের আবেদনের শুনানি করে সবাইকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে নির্দেশ দেন।
ভূপেন্দ্র ভৌমিকসহ সাত আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। ইসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আশফাকুর রহমান।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক গণতন্ত্রী পার্টি। আরশ আলী ও শাহাদাত হোসেন উভয়ে নিজেদের দলটির সভাপতি দাবি করেন।
নির্বাচনে আরশ আলী মনোনীত সাত প্রার্থী হলেন—ভূপেন্দ্র চন্দ্র ভৌমিক (কিশোরগঞ্জ-১), মো. আশরাফ আলী (কিশোরগঞ্জ-২), দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া (কিশোরগঞ্জ-৩), মো. মোজাম্মেল হোসেন ভূঁইয়া (নীলফামারী-৩), মিহির রঞ্জন দাশ (সুনামগঞ্জ-২), মো. খায়রুল আলম (পাবনা-৩) ও মো. মতিউর রহমান (খুলনা-২)।
দলটির অপর অংশ মনোনীত তিন প্রার্থী হলেন—শাহাদাত হোসেন (ঢাকা-৮), মঞ্জুরুল ইসলাম (বগুড়া-৪) ও হাফিজুর রহমান মিন্টু (ঢাকা-৫)।