মানুষের মতো এই প্রাণীটিও নিজেদের নাম রাখে, দাবি গবেষকদের

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩: ৩৩

দলবদ্ধ প্রাণীদের মধ্যে আলাদাভাবে অন্যদের নামকরণের বিষয়টি অত্যন্ত উন্নত জ্ঞানের চিহ্ন হিসাবে বিবেচিত হয়। গবেষকেরা ভাবতেন, মানুষ ছাড়া বিশেষ এই ক্ষমতাটি আছে শুধু বটলনোজ ডলফিন এবং আফ্রিকান হাতিদের। তবে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে নতুন আরেক প্রজাতির প্রাণী। 

বৃহস্পতিবার ‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা বলছে, মারমোসেট বানরেরা নিজেদেরকে আলাদা আলাদা নামে চিহ্নিত করতে পারে। হিব্রু ইউনিভার্সিটি অব জেরুজালেমের একটি দল ওই গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁরা দেখেছেন, মারমোসেট প্রজাতির ছোট বানরেরা একে অপরকে ডাকতে উচ্চ স্বরে নির্দিষ্ট ভোকাল লেবেল ব্যবহার করে। 

গবেষণাটির সিনিয়র লেখক ডেভিড ওমর এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা সামাজিক আচরণে খুব আগ্রহী। কারণ আমরা মনে করি, সামাজিক আচরণই মূলত আমাদের মানুষকে অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় বিশেষ করে তুলেছে।’ 

ডেভিড ওমর দাবি করেন, মানুষের মধ্যে কীভাবে সামাজিক আচরণ এবং ভাষার বিবর্তন হয়েছে তা অধ্যয়ন করার জন্য মারমোসেট বানরেরা আদর্শ উদাহরণ। কারণ মানুষের মতোই এদের কিছু সামাজিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মানুষের সমাজের মতোই এদের একগামী পরিবার রয়েছে। এসব পরিবারের সদস্য ৬ থেকে ৮ জনও হয়ে থাকে। পরিবারের বাচ্চাদের তাঁরা সহযোগিতার মাধ্যমে লালন-পালন করে। 

গবেষকদের মধ্যে স্নাতক ছাত্র গাই ওরেনের নেতৃত্বে একটি দল মারমোসেট জোড়াগুলোর মধ্যে প্রাকৃতিক কথোপকথন রেকর্ড করেছেন। তাঁরা আবিষ্কার করেছেন, এই বানরগুলো একে অপরকে সম্বোধন করার জন্য আলাদা এবং সুনির্দিষ্ট স্বর ব্যবহার করছে। 

গবেষকেরা যে ১০টি মারমোসেটকে পর্যবেক্ষণ করেছে সেগুলো তিনটি পৃথক পরিবার থেকে এসেছিল। গবেষণায় আরও জানা গেছে, মানুষের উপভাষা বা উচ্চারণের মতোই একেকটি মারমোসেট পরিবারের সদস্যরা নাম নির্দেশের জন্য একই ধরনের শব্দ বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করেছিল। 

মারমোসেট বানরেরা তুলনামূলকভাবে মানুষের দূরবর্তী আত্মীয়। এদের সঙ্গে মানুষের বিভাজন প্রায় সাড়ে তিন কোটি বছর আগে হয়েছিল বলে মনে করেন গবেষকেরা। অন্যদিকে শিম্পাঞ্জিদের সঙ্গে এই বিভাজনের সূত্রপাত হয়েছিল ৫০ থেকে ৭০ লাখ বছর আগে।

গাঁজা সেবনে সিজোফ্রেনিয়া ও পাগল হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে: গবেষণা

শনির মতো বলয় ছিল পৃথিবীরও!

১৫ লাখ বছর আগে পৃথক মানব প্রজাতির সহাবস্থানের প্রমাণ মিলল পদচিহ্নে

বৃহত্তম পরিসরে আইনস্টাইনের তত্ত্ব পরীক্ষা—তিনি সঠিক ছিলেন