Ajker Patrika
হোম > বিজ্ঞান > গবেষণা

ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন পৃথিবীকে করছে কাত, বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা

অনলাইন ডেস্ক

ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন পৃথিবীকে করছে কাত, বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা

পানি শুধু জীবনের অপর নাম নয়। এই ভূগর্ভস্থ জলের ওপর পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতিবিধিও নির্ভর করে। ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলনের মাত্রা ও পুর্নবণ্টনের তারতম্য পৃথিবীকে করে দিতে পারে কাত। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যান্য ফলাফলকেও প্রভাবিত করতে পারে। 

তবে বর্তমানে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলনের প্রভাব আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, দুই দশকেরও কম সময়ে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলনের কারণে পৃথিবী ৩১ দশমিক ৫ ইঞ্চি কাত হয়েছে। যা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ০ দশমিক ২৪ ইঞ্চি সমান। 

সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভূপদার্থবিদ এবং গবেষক দলের প্রধান কি-উয়ন সিও একটি বিবৃতিতে বলেছেন, পৃথিবীর ঘূর্ণন মেরু আসলে অনেক পরিবর্তন মধ্যে দিয়ে যায়। আমাদের সমীক্ষা দেখায় যে জলবায়ু সম্পর্কিত কারণগুলোর মধ্যে ভূগর্ভস্থ জলের পুনর্বণ্টন আসলে ঘূর্ণন মেরুটির প্রবাহের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। 

গবেষকেরা বলছেন, পৃথিবী নিজ অক্ষে ঘূর্ণনকালে পানির বণ্টন ভরকে প্রভাবিত করে। এই জলের বণ্টনের তারতম্যর কারণেই পৃথিবী আবার একটু ভিন্নভাবে ঘোরে। এটি ঘূর্ণয়মান পৃথিবীর উপরিভাগে সামান্য ওজন যোগ করার মতো। 

কি-উয়ন সিও বলেন, ‘২০১৬ সালে নাসা প্রকাশিত থেকে একটি গবেষণা থেকে সতর্ক হয়েছিলাম যে, জলের বণ্টন পৃথিবীর ঘূর্ণন পরিবর্তন করতে পারে। আমাদের গবেষণাটি সেই উপলব্ধিতে কিছু নতুন পরিসংখ্যান যোগ করার চেষ্টা করেছে। পৃথিবীর ঘূর্ণন মেরুর গতিবিধির অজানা কারণ খুঁজে পেয়ে আমি খুশি। একই সঙ্গে পৃথিবীর বাসিন্দা ও একজন বাবা হিসাবে উদ্বিগ্নও বটে। অবাক হয়েছি যে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধিরও আরেকটি প্রধান কারণ।’ 

গবেষণায় ১৯৯৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ডেটা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে দেখানো হয়েছে ২ হাজার ১৫০ গিগাটন ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলনের ফলে পৃথিবীর প্রায় ৩১ দশমিক ৫ ইঞ্চি কাত হয়েছে। ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন করা হয় মূলত সেচ এবং মানুষের ব্যবহারের জন্য। এসব জল ব্যবহার শেষে আবার মহাসাগরে গিয়ে নামে। 

গবেষকেরা পৃথিবীর ঘূর্ণনশীল মেরু এবং জলের গতিবিধির প্রবাহের পরিবর্তনগুলো পর্যবেক্ষণ করেছেন। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে গতিবিধির সঙ্গে মিলে যাওয়া একমাত্র মডেলটি ছিল ২ হাজার ১৫০ গিগাটন ভূগর্ভস্থ জলের বণ্টন। 

নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির গবেষক সুরেন্দ্র অধিকারী। যিনি ২০১৬ সালের গবেষণায় সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, এ ধরনের গবেষণা প্রয়োজনীয়। এই গবেষণা ঘূর্ণন মেরুর গতিতে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলনের প্রভাব বের করেছে। বিশেষ করে মধ্য অক্ষাংশ থেকে জলের পুনর্বণ্টন সবচেয়ে বড় পার্থক্য সৃষ্টির বিষয়টি। যা উত্তর-পশ্চিম আমেরিকা এবং উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে তীব্র জল চলাচল পৃথিবীকে কাত করে দিয়েছে।

অতিকায় ম্যামথ ফিরিয়ে আনার মিশনে জন্ম নিল লোমশ ইঁদুর

নিকোটিন বা অ্যালকোহলের মতো আসক্তি তৈরি করে স্মার্টফোন: গবেষণা

৩৬০ কোটি বছর আগে সমুদ্র ছিল মঙ্গলে, উপকূলরেখা শনাক্ত করল চীনা যান

১১ হাজার বছর পর আবার বরফে ঢেকে যাবে পুরো পৃথিবী: গবেষণা

পদার্থবিজ্ঞানের ২০০ বছরের পুরোনো ধাঁধা সমাধানে বিরল অগ্রগতি

পৃথিবীর গভীরে লুকিয়ে ‘অতিকায় মহাদেশ’, নতুন রহস্য উন্মোচন

চাঁদে অক্সিজেন তৈরির চেষ্টা প্রকৌশলীদের

মানুষের মূত্র থেকে উৎপাদিত হবে সার

মহাকাশের দুটি ভিন্ন স্থান থেকে এসেছে রহস্যময় ‘ফাস্ট রেডিও বার্স্ট’

গাঁজা সেবনে সিজোফ্রেনিয়া ও পাগল হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে: গবেষণা