টুর্নামেন্টের দুই হট ফেবারিট তারা। রংপুর রাইডার্স আর ফরচুন বরিশালের ম্যাচে অন্যরকম ঝাঁজ না থেকে কী পারে! আজ সিলেটে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের শেষ ওভারের অবিশ্বাস্য উত্তেজনার রেশ যেন থাকল খেলার পরেও। রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের অবিশ্বাস্য ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে নাটকীয়ভাবে জয় তুলে নেওয়ার পরই মেজাজ হারিয়ে আলোচনায় বরিশাল অধিনায়ক তামিম।
ম্যাচ শেষে রংপুরের ডাগআউটের দিকে তেড়ে যান তামিম। জানা গেছে, রংপুরের ইংলিশ তারকা অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে লেগে যায় তাঁর। রংপুরের অধিনায়ক সোহান এবং টিম ডিরেক্টর শাহনিয়ান তানিম তামিমকে থামান। জানা যায়, ম্যাচ শেষে হাত মেলানোর সময় হেলসের আপত্তিকর মুখভঙ্গি নিয়েই নাকি খেপেন তামিম। বরিশাল অধিনায়ক তাঁকে বলেন, যা বলার সামনে এসে বলো। পরে হেলস একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে উল্টো অভিযোগ করেছেন, তামিম নাকি তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। রংপুরের শেখ মেহেদী হাসান বিপিএলের চলতি আসরে প্রথমবারের মতো ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউটের শিকার। আউটের পর ডাগআউটে ফিরে কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেন মেহেদী। ম্যাচ শেষে রংপুরের জয়ের পর তাঁর আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গির অভিযোগ উঠেছে। প্রথমে মনে হচ্ছিল, এই ঘটনার জেরেই হয়তো তামিম ক্ষুব্ধ হয়ে মেহেদীর দিকে তেড়ে যান। পরে জানা যায়, মেহেদী নন, বরিশাল অধিনায়ক আসলে হেলসের দিকে তেড়েফুঁড়ে যাচ্ছিলেন। রংপুরের অধিনায়ক সোহান ও টিম ডিরেক্টরের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ম্যাচের উত্তেজনা শুরু ১৯ তম ওভারে। রংপুরের ইনিংসে জাহানদাদ খানের বলে রান নেওয়ার সময় নুরুল হাসান সোহান ব্যাট হাতে দৌড়ের পথে বল আটকান, যেটা অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ডের আইন অনুযায়ী আউট। থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে আউট ঘোষণা করা হয় সোহানকে। এ নিয়ে মাঠে ও ডাগআউটে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। সোহানকে আউট ঘোষণা করলেও তিনি উইকেটে টিকে গেলেন তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে। আউট হলেন শেখ মেহেদী।
পরে এই বিতর্ক পেছনে ফেলেন সোহান নিজেই। শেষ ওভারে ২৬ রানের অসম্ভব সমীকরণ মেলাতে সোহান খেলেন অবিশ্বাস্য ইনিংস। কাইল মেয়ার্সের করা শেষ ওভারে ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ৩০ রান তুলে দলকে এনে দেন ৩ উইকেটের দুর্দান্ত এক জয়।
পুরো ম্যাচ জুড়ে উত্তেজনা এবং নাটকীয়তার অভাব নেই। ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট, শেষ ওভারে সোহান-ঝড় আর ম্যাচ শেষে তামিমের মেজাজ হারানো—বিপিএলের ব্লকবাস্টার যাকে বলে!