মাঠ থেকে বিদায় নেওয়া হয়নি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে গত রাতে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন তিনি। ৩৯ বছর বয়সী বাংলাদেশের এই ক্রিকেটারকে আজ বিশেষ সম্মান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)
আইসিসি ইভেন্টে মাহমুদউল্লাহর ‘লাভ স্টোরি’ তো অনেকেই জানেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চার সেঞ্চুরির চারটিই করেছেন আইসিসি ইভেন্টে। ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা তাঁকে সম্মান জানিয়ে আজ নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর শূন্যে উড়ে তাঁর উদযাপন, গ্যালারির উদ্দেশ্যে উড়ন্ত চুমু ছোড়া—সবই দেখিয়েছে আইসিসি। ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা ক্যাপশন দিয়েছে, ‘বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে খেলা মাহমুদউল্লাহর কাছে বিশেষ কিছু।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেঞ্চুরিটাই মাহমুদউল্লাহর প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। একই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। তাতে ওয়ানডেতে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন মাহমুদউল্লাহ। পরবর্তীতে একটি করে সেঞ্চুরি করেছেন ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবশেষ ম্যাচ তিনি খেলেছেন এ বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এই ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ১১ বলে করেন ৪ রান। ৫০ টেস্ট, ২৩৯ ওয়ানডে ও ১৪১ টি-টোয়েন্টি—বাংলাদেশের জার্সিতে ৪৩০ ম্যাচ খেলে মাহমুদউল্লাহ করেছেন ১১০৪৭ রান। ১৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৩১.৮৩ গড়ে ব্যাটিং করেছেন। ৯ সেঞ্চুরির পাশাপাশি রয়েছে ৫৬ ফিফটি।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অবসরের পর সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন দেশের ক্রিকেটাররা। নাজমুল হোসেন শান্ত নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন,‘বৈশ্বিক ইভেন্টে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আপনার অবদানের জন্য ধন্যবাদ। ড্রেসিংরুমে আপনাকে মিস করব এবং মাঠ ও মাঠের বাইরে আপনার থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়ার মতো অনেক কিছু আছে। আপনি অনেককেই অনুপ্রাণিত করেছেন এবং আশা করি অনেক দিন আপনি এটা করে যাবে। আপনার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শুভকামনা।’
মুমিনুল হকের চোখে মাহমুদউল্লাহ আজীবন বাংলাদেশের কিংবদন্তি হয়ে থাকবেন। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে আজ মুমিনুল লিখেছেন,‘একটি যুগের শেষ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাইকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে বিদায় জানাচ্ছি। চাপের মধ্যে ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ জিতে আপনি লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটে আপনার অবদান আজীবন মনে রাখা হবে এবং আপনার উত্তরাধিকারী ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। মনে রাখার মতো অসংখ্য স্মৃতি, নিষ্ঠা ও যে নেতৃত্ব বছরের পর বছর দেখিয়েছেন, সেজন্য ধন্যবাদ। আপনি সবসময়ই কিংবদন্তি হয়ে থাকবেন।’