Ajker Patrika

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিজয়ী ভারতীয় ক্রিকেটারকে হুমকি, ‘দেশে এসো না...’

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২: ৫২
বরুণ চক্রবর্তীকে হুমকি দেওয়া হয় ফোনে। ছবি: এএফপি
বরুণ চক্রবর্তীকে হুমকি দেওয়া হয় ফোনে। ছবি: এএফপি

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রথম দুই ম্যাচে সুযোগ হয়নি বরুণ চক্রবর্তীর। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একাদশে জায়গা পেয়েই শিকার করেন ৫ উইকেট। দুর্দান্ত বোলিংয়ে দলের শিরোপাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। কিন্তু এখন সময়টা যতটা বরুণের মধুর, ঠিক আরেকটি আইসিসি ইভেন্টের পর তাঁর জীবনে নেমে এসেছিল ভয়াবহ তিক্ত অভিজ্ঞতা। দেশে না ফিরতে হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে।

এতদিন চেপে রাখা সেসব কথা গতকাল এক ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে বলেন বরুণ নিজেই। ২০২০ ও ২০২১ আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে ভারতীয় দলে জায়গা করে নেন এই মিস্ট্রি স্পিনার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক সিরিজে তিন ম্যাচে উইকেট নেন ২টি। পরে সুযোগ পেয়ে যান ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও। কিন্তু এই টুর্নামেন্টেই খেই হারান তিনি।

দুবাইয়ে সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ভারত বিদায়ে নিয়েছিল সুপার টুয়েলভ থেকেই। বিরাট কোহলির নেতৃত্বে পাঁচ ম্যাচের দুটিতে হেরে বিদায় নেয় তারা। তিন ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে কোনো উইকেট পাননি বরুণ। এমন নখদন্তহীন পারফরম্যান্সের পর হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। পাশাপাশি ফোনে পাচ্ছিলেন হুমকি।

সেই ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বরুণ বলেন, ‘আমার জন্য খুব কঠিন সময় ছিল ওটা। আমি অবসাদে ভুগছিলাম, কারণ আমার মনে হয়েছিল, অনেক আলোড়ন তুলে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার পর নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারিনি আমি। একটি উইকেটও না পাওয়ায় আমি অনুতপ্ত ছিলাম। এরপর তিন বছর আমাকে দলে ডাকা হয়নি। তাই আমার মনে হয়, দলে ফেরাটা অভিষেকের পথচলার চেয়েও কঠিন ছিল।’

হুমকির যেভাবে পেয়েছিলেন বরুণ, ‘২০২১ বিশ্বকাপের পর আমি ফোনে হুমকি পেয়েছিলাম। লোকেরা বলেছিল, ভারতে এসো না। যদি চেষ্টা করো, তুমি পারবে না। লোকেরা আমার বাড়ির কাছে এসে আমাকে খুঁজে বের করত এবং কখনো কখনো আমাকে লুকিয়ে থাকতে হতো। যখন আমি বিমানবন্দর থেকে ফিরছিলাম, তখন কিছু লোক তাদের বাইকে আমার পেছনে পেছনে আসছিল। এমনটা হয়। আমি বুঝতে পারি ভক্তরা আবেগতাড়িত থাকে।’

২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নিজেকে বদলে নেন বরুণ। নিজের রুটিনে আনেন পরিবর্তন, ‘আমার অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হয়েছিল। আমার দৈনন্দিন রুটিন, অনুশীলন পরিবর্তন করতে হয়েছিল। আগে আমি এক সেশনে ৫০টি বল করতাম। সেটা দ্বিগুণ করে দিই। জানতামও না যে, নির্বাচকেরা আদৌ আমাকে দলে ডাকবেন কি না। খুব কঠিন সময় ছিল। তিন বছর পর ভাবলাম, সব শেষ হয়ে গেছে। এরপর আমরা আইপিএল জিতলাম এবং জাতীয় দলে ডাক পেলাম। খুব খুশি হয়েছিলাম তখন।’

২০২৪ আইপিএলেও দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২১ উইকেট নিয়েছেন বরুণ। কলকাতার শিরোপা জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন তিনি। আবারও দরজা খোলে জাতীয় দলের। দলে এরই মধ্যে ১২ টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ৩১টি উইকেট। ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন দুবার। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটসহ সেমিফাইনাল ও ফাইনালেও দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত