ব্যাটারদের সঙ্গে মোহাম্মদ সিরাজের তর্কে জড়ানোর ঘটনা নতুন কিছু নয়। বছর দুয়েক আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লিটন দাসের সঙ্গেই কথার লড়াই হয়েছিল সিরাজের। আজ চেন্নাইয়ে নাজমুল হোসেন শান্তকেও একটু খোঁচালেন সিরাজ।
ফাস্ট বোলাররা ব্যাটারদের দিকে একটু তেড়েফুঁড়ে না গেলে তাঁর ভেতর আর কিসের আগুন! সিরাজও সেই আগুন দেখাতে চান ২২ গজে। ব্যাটারদের তাতিয়ে দিয়ে মাইন্ড গেম খেলে উইকেট শিকার করে নেওয়ার দারুণ এক কৌশলও বটে। আজ বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে থিতু হয়ে যাওয়া শান্তর সঙ্গেও একটু ‘মাইন্ড গেম’ খেললেন ভারতীয় ফাস্ট বোলার। ৫১৫ রানের প্রায় অসম্ভব লক্ষ্য নিয়ে চতুর্থ দিনের সকালে ব্যাটিং করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। সফরকারীদের ইনিংসের ৪৬তম ওভারের চতুর্থ বলে সিরাজের বাউন্সার পুল করে ফাইন লেগ দিয়ে চার মারেন শান্ত। ব্যাপারটা মোটেও পছন্দ হয়নি সিরাজের। চার হজম করার পর ভারতীয় এই পেসার কিছু একটা বলেন শান্তবে। এখানে শান্ত যেন নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে ‘শান্তই’ থেকেছেন, স্লেজিংয়ের জবাব না দিয়ে মুচকি হাসি দিয়েছেন তিনি। প্রথমে যখন কাজ হয়নি, তখন শান্তকে আবার খোঁচান সিরাজ। এমনকি শান্তর দিকে বল ছুড়ে মারারও চেষ্টা করেন তিনি।
সিরাজ যতবারই উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করেছেন, শান্ত ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। যেভাবে এই স্লেজিং শান্ত সামলেছেন, তাতে ধারাভাষ্য কক্ষে থাকা তামিম ইকবাল প্রশংসা করেছেন। সিরাজের বলে আউট না হলেও শান্ত টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি থেকে ১৮ রান দূরে থাকতে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন। জাদেজার বলে স্লগ সুইপ খেলতে যান শান্ত। টপ এজ হওয়া বল এক্সট্রা কাভার থেকে উল্টো দিকে দৌড়ে দারুণ ক্যাচ ধরেন জসপ্রীত বুমরা। ১২৭ বলের ইনিংসে ৮ চার ও ৩ ছক্কা মারেন শান্ত। ২৮০ রানে ম্যাচটি জিতে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারত এগিয়ে ১-০ ব্যবধানে।
চেন্নাইয়ে শান্তর বিপক্ষে স্লেজিংয়ে ব্যর্থ হলেও চট্টগ্রামে সিরাজের স্লেজিং কাজে দিয়েছিল। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে লিটনকে তখন বোল্ড করে দেন সিরাজ। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সেই টেস্টও ছিল ২ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। সেবার বাংলাদেশে এসে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত।